সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় পুলিশের করা মামলার ৩ সাক্ষিকে দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনের রিমান্ডে জিঞ্জাসাবাদের জন্য র্যাবের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
শনিবার (২৯ আগস্ট) র্যাবের একটি দল কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে।
গত ২৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ্ দ্বিতীয় দফায় তাদের এই চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হলেন, টেকনাফ মারিশবুনিয়া এলাকার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মো. আয়াছ।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মোকাম্মেল হোসেন জানিয়েছেন, র্যাবের একটি দল সকালে কারাগারে আসলে ৩ আসামিকে তাদের হেফাজতে দেয়া হয়। আগেই তাদের প্রত্যেকের ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো: খায়রুল ইসলাম গত ২৫ আগস্ট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানী শেষে দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক তামান্না ফারাহ্। এরআগে গত ২০ আগস্ট প্রথম দফায় তাঁদের সাত দিনের রিমান্ড শেষ হয়।
মেজর সিনহা খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষিকে ১১ আগস্ট মারিশবুনিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
৩১ জুলাই রাতে মেজর (অব.) সিনহা নিহত হওয়ার পর মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন ও পুলিশকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার অভিযোগে টেকনাফ থানায় দু’টি মামলা করে পুলিশ। উপ পরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিতের দায়ের করা ওই মামলায় এই তিন জনকে সাক্ষি দেখানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের পাহাড়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ দিয়ে হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা।
সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদি হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত মামলায় সাত পুলিশ সদস্য, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের তিন সদস্য ও পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।