করোনার প্রকোপ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রে গণহারে চলছে টিকা প্রয়োগ। তারপরও থামছে না ভাইরাসটির তাণ্ডব। গত একদিনেও পৌনে দুই লাখ মানুষের শরীরে হানা দিয়েছে ভাইরাসটি। নতুন করে প্রাণহানি ঘটেছে প্রায় দুই হাজার মানুষের। এতে করে মৃতের সংখ্যা আজ ৪ লাখ ৭ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে পিছিয়ে সুস্থতা।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার নিয়মিত পরিসংখ্যানের দেয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫৬০ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৮২ হাজার ৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৮৪৬ জন। এ নিয়ে প্রাণহানি বেড়ে ৪ লাখ ৭ হাজার ২০২ জনে ঠেকেছে।
অপরদিকে, সংক্রমণের তুলনায় কম হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ভুক্তভোগী। এতে করে সুস্থতার সংখ্যা ১ কোটি ৪৪ লাখ ২৮ হাজার ৩৫১ জনে পৌঁছেছে।
গত বছরের ২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ধারণা ইতোমধ্যে তাদের দেশের অন্তত ২০ মিলিয়ন (দুই কোটি) মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন। দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) বলছে, ‘প্রকৃত তথ্য হলো, প্রকাশিত সংখ্যার অন্তত ১০ গুণ বেশি মানুষ করোনার ভয়াবহতার শিকার।’
এর মধ্যে সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে দীর্ঘ হচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়ায়। যেখানে সংক্রমিতের সংখ্যা ২৯ লাখ ৯৪ হাজার। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৯৩ জনের। টেক্সাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লাখ ৩৩ হাজার। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ৩২ হাজার ৮৩৯ জনের। ফ্লোরিডায় করোনার শিকার ১৫ লাখ ৭১ হাজার মানুষ। ইতোমধ্যে সেখানে ২৪ হাজার ১৩৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
প্রাণহানিতে শীর্ষ শহর নিউইয়র্কে আক্রান্ত ১২ লাখ ৭৫ হাজার। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৪১ হাজার ৪ জন ভুক্তভোগী। ইলিনয়েসে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ১০ লাখ ৬৯ হাজার। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ হাজার ৫০ জন। জর্জিজায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ১৬ হাজার। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ১২ হাজার ২৯৬ জনের।
পেনসিলভেনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৭৩ হাজার। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৩৪৬ জন মানুষ। নিউ জার্সিতে করোনার শিকার ৬ লাখ ২৭ হাজার মানুষ। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ২০ হাজার ৪৭৭ জনের।
এছাড়া ওহিও, টেনেসিস, উত্তর ক্যারোলিনা, অ্যারিজোনা, মিশিগান, ইন্ডিয়ানা, উইসকনসিনের মতো শহরগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে।