মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে বির্তক এড়াতে শুরু থেকেই নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টায় ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এরইমধ্যে ২২ লাখ বিজ্ঞাপন ফেরত দেয়ার পাশাপাশি ১ লাখ ২০ হাজার পোস্ট সরিয়ে নিয়েছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, নীতিমালায় পরিবর্তন আনলেও নতুন কৌশল ব্যবহার করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন গ্রুপ।
ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশের নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা খুব ভালো করেই দেখিয়েছে ২০১৬ সালে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র ও প্রচারণা যে চালানো যায় তা ভালোভাবেই দেখিয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জয় ।
চার বছর পর একই ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য আগেভাগেই উদ্যোগী ফেসবুক-টুইটারসহ সামাজিক মাধ্যমগুলো। পহেলা অক্টোবর থেকে নতুন শর্ত কার্যকর করেছে ফেসবুক।
এর আওতায়, কোনো রাজনৈতিক ও বিতর্কিত ছবি প্রোফাইল পিকচারে ব্যবহার করতে পারবে না ফেসবুকের ৩৫ হাজার কর্মী। রাজনৈতিক দলকে সমর্থন বা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকাও প্রকাশ করতে পারবে না। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে পোস্টের ক্ষেত্রেও।
নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকে নতুন রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন না চালানোর কথাও জানিয়েছে ফেসবুক।
টিকটক ও টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমও পেইড রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের অনুমোদন দিচ্ছে না।
তারপরও কি ঠেকানো যাচ্ছে রাজনৈতিক প্রচারণা? আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের গবেষণা বলছে, ট্রাম্পের পক্ষে এ প্রচারণা কিউঅ্যানন গ্রুপের ৪ কোটি লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার সরিয়ে নেয়ার পরও হ্যাসট্যাগসহ বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
এ অবস্থায় বিজ্ঞাপনকে নীতিমালার আওতায় আনা ও অ্যালগরিদমের পরিবর্তনই সমাধান হতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের।