‘মগজখেকো’ অ্যামিবার সন্ধান

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

 

 

১০৪ বার দেখা হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সরবরাহ করা পানিতে বিরল প্রজাতির ‘মগজখেকো’ অ্যামিবার সন্ধান মিলেছে। এ নিয়ে টেক্সাস প্রদেশের আটটি শহরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আমেরিকার স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ভয়ানক অ্যামিবা সন্ধান মেলার পরেই টেক্সাস কমিশন অন এনভায়রনমেন্টাল কোয়ালিটির পক্ষে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্রাজোসপোর্ট ওয়াটার অথরিটি’র সরবরাহ করা পানি যেন এখনও কেউ ব্যবহার না করে। কারণ, তাদের সরবরাহ করা পানির মধ্যে নাইগ্লেরিয়া ফোলেরি নামে একটি বিরল প্রজাতির অ্যামিবার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এককোষী ওই প্রাণীটি মানুষের শরীরে ঢুকে মস্তিষ্কের কোষগুলিকে ধ্বংস করে দেয়। বিষয়টি সম্পর্কে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সূত্রে খবর, মগজখেকো এই অ্যামিবাটি নদী, পুকুর, হ্রদ বা সুইমিং পুল, যে কোনও পানিতে থাকে। উষ্ণ পানি হলে তো কথাই নেই, দ্রুত বংশবৃদ্ধি বা কোষ বিভাজন করে অ্যামিবারা। সেই জন্য উষ্ণ প্রস্রবণগুলিতে এদের দেখা মেলে অনেক বেশি। শিল্পাঞ্চলের কাছাকাছি এলাকায়, দূষিত পানিতেও দেখা মেলে এদের। দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার না করা সুইমিং পুল বা ক্লোরিনেটেড নয় এমন বদ্ধ পানিতে দ্রুত ছড়ায় এই ধরনের অ্যামিবা। খালি চোখে ধরা যায় না। এমনিতে এটি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু, যদি নাক দিয়ে কোনও ভাবে শরীরে প্রবেশ করে, তাহলে মগজের দফারফা করে ছাড়ে। স্নায়ুকোষ ছিন্নভিন্ন করে ফেলে নিমেষে। শিশু হলে তৎক্ষণাৎ মৃত্যু, প্রাপ্তবয়স্ক হলে খানিকক্ষণ খাবি খেয়ে তারপর মৃত্যু হবে।

১৯৬০ সালে অস্ট্রেলিয়ার একটি হ্রদের পানিতে প্রথম এই মগজখেকো অ্যামিবার সন্ধান মিলেছিল। ফ্লোরিডার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকায় ১৯৬২ সাল থেকে এই অ্যামিবায় এখন পর্যন্ত ১৪৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। যার মধ্যে মাত্র চার জন বেঁচে ফিরতে পেরেছেন। ২০১২ সালে পাকিস্তানেও এই অ্যামিবার ফলে অনেকের মৃত্যু হয়েছিল। 

আরো পড়ুন