বাইডেনের বিজয় মঞ্চ তৈরি হচ্ছে উইলমিংটনে

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

 

 

১০৮ বার দেখা হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হবার দ্বারপ্রান্তে জো বাইডেন, তাই তার বিজয় মঞ্চ তৈরি করছেন ডেমোক্র্যাট সমর্থকরা। যদিও চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা এখনও বাকি, তার আগেই ডেলাওয়্যার অঙ্গরাজ্যের উইলমিংটনে বিশাল মঞ্চ প্রস্তুতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বাইডেন সমর্থকরা।

এই উইলমিংটন শহর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। সেখানেই তার সমর্থকরা নিচ্ছেন উৎসবের প্রস্তুতি। উইলমিংটনে বাইডেনের বাড়ির কাছে ওয়েস্টিন হোটেলের বাইরে এরই মধ্যে সমর্থকদের উৎসব প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।

বাইডেন-হ্যারিস লেখা ক্যাম্পেইন সাইন বসিয়ে ইতোমধ্যে একটি জায়গা ঘিরে ফেলা হয়েছে। ইতোমধ্যে এখানে নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যদিও উইলমিংটনে পতাকাসজ্জিত একটি মঞ্চ প্রস্তুত হয়ে আছে সেই ভোটের দিন মঙ্গলবার থেকে। সেই মঞ্চ এখনও চূড়ান্ত লগ্নের অপেক্ষায়।

‘হবু প্রেসিডেন্টকে’ সমর্থন জানাবেন বলে মেকানিকসবার্গ থেকে ছেলেকে নিয়ে উইলমিংটনে এসেছেন ৪০ বছর বয়সী টমাস কুনিস। গত রাতটি তাদের গাড়িতেই কেটেছে। এর আগে কুনিস শেষবার ভোট দিয়েছিলেন ২০০০ সালে, সেবার তার সমর্থন ছিল জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রতি। 

ইতিমধ্যে পেনসিলভেনিয়ার মতো জর্জিয়াতেও রিপাবলিকান প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে টপকে গেছেন বাইডেন, এগিয়ে আছেন দেড় হাজারের বেশি ভোটে। কিন্তু দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ০.৫ শতাংশের কম হওয়ায় রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী সেখানে পুনঃগণনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নেভাদায় জো বাইডেন ১.৭% ভোটে এগিয়ে আছেন। এই রাজ্যের ৯২% ভোট ইতোমধ্যেই গণনা শেষ হয়েছে। রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প পিছিয়ে যাচ্ছে দেখে তার সমর্থকরা প্রার্থনায় বসে গেছে।

শুক্রবার দুই রাজ্যের ভোটের ফল বাইডেনকে চূড়ান্ত বিজয়ের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার আভাস দিলেও ট্রাম্প শিবিরের একজন আইনজীবী এখনই পরাজয় মেনে না নেওয়ার ইংগিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাদের নির্বাচন এখনও শেষ হয়ে যায়নি।

এদিকে নির্বাচনে কথিত কারচুপির যে অভিযোগ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প করেছেন তার সমালোচনা করেছেন নিজের দলের ইউটাহ্ অঙ্গরাজ্যের সিনেটার মিট রমনি। 

তিনি টুইটারে এক বার্তায় বলেছেন, ‘নির্বাচনকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বা ‘চুরি’ করা হয়েছে বলাটা মারাত্মক ভুল। এর ফলে এখানে এবং বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতার লক্ষ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

আরো পড়ুন