প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে এবং নারী ও শিশু নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আইনের বিধান কঠোরভাবে প্রয়োগের দাবীতে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাস থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচীতে সংগঠনের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের প্রস্তাব করায় শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। যারা ধর্ষকদের বিচার চায় তাদের সাথে একমত পোষণ করে তিনি বলেন, ‘ধর্ষক কোন দলের নয়, তাদের বিরুদ্ধে আইনের বিধান কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে।’ আন্দোলনের নামে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীদের বহু অযৌক্তিক আন্দোলন প্রতিহত করা হয়েছে। আগামীতেও স্বেচ্ছাসেবক লীগ রাজপথে থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করবে।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেন, ‘যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি পুড়িয়েছে তাদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করা হবে। রাজপথ মুজিবসেনাদের দখলে, জননেত্রী শেখ হাসিনার অবমাননা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ্য করবে না। ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগই যথেষ্ট। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে যারা বাধাগ্রস্থ করতে চায় তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ইসহাক মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈম এবং দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কামরুল হাসান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা নির্মল চ্যাটার্জি, কাজী শহিদুল্লাহ লিটন, মজিবুর রহমান স্বপন, তাপস পাল, শামীম শাহরিয়ার, দেবাশীষ বিশ্বাস, আবদুল আলিম বেপারী, সালেহ মোহাম্মদ টুটুল, মোবাশ্বের চৌধুরী, খায়রুল হাসান জুয়েল,
আবু তাহের, নাফিউল করিম নাফা, আব্দুল্লাহ আল সায়েম, আনোয়ারুল আজিম সাদেক, আজিজুল হক আজিজ রফিকুল ইসলাম বিটু, আবুল কালাম আজাদ হাওলাদার, গোলাম রাব্বানীসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ।