৫০তম দেশ হিসেবে হন্ডুরাস পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ আন্তর্জাতিক চুক্তিতে অনুসমর্থন করেছে। জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা শনিবার এ কথা জানিয়ে বলেছেন, ৯০ দিন পরে ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি ঐতিহাসিক এই চুক্তির শর্তাবলী কার্যকর হবে।
যদিও পরমাণু অস্ত্রধারী দেশগুলো এখনো এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি, চুক্তি কার্যকরে যারা এগিয়ে এসেছেন তারা আশা করছেন, এটি প্রতীকি বিষয়ের চেয়ে অধিক কার্যকর হবে এবং ক্রমশ প্রতিকূল প্রভাব হ্রাস পাবে।
৫০তম দেশ হিসেবে হন্ডুরাস এই চুক্তি অনুসমর্থন দিয়েছে উল্লেখ করে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের (আইসিআরসি) প্রেসিডেন্ট পিটার মুরার এক বিবৃতিতে বলেন, “আজকের দিনটি মানবতার জন্য একটি বিজয় এবং নিরাপদ ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি।”
ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু এ্যাবোলিস নিউক্লিয়ার ওয়পনস (আইসিএএন) জোট সহ অন্যান্য এনজিও হন্ডুরাসের অনুসমর্থনের খবরকে স্বাগত জানিয়েছে। আইসিএসি পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি সফল করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালানোর জন্য ২০১৭ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করে।
আইসিএএন এক টুইটে বলেছে, “ হন্ডুরাস মাত্র ৫০তম দেশ হিসেবে চুক্তিতে অনুসমর্থন করেছে, এটি চুক্তি কার্যকর জোরদার করবে এবং এক ইতিহাস হয়ে থাকবে।”
আগস্টে নাগাসাকি ও হিরোসিমায় পরমাণু বোমা হামলার ৭৫ তম বার্ষিকী পালনের পরে কয়েক মাসে অনেকগুলো দেশ চুক্তি অনুসমর্থন করেছে। এরমধ্যে রয়েছে নাইজেরিয়া,মালয়েশিয়া, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা ও টুভালু।
থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ভ্যাটিকান আগেই চুক্তি অনুসমর্থন করেছে। এখন এই চুক্তি ২০২১ সালের জানুয়ারিতে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তিতে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার, উন্নয়ন, উৎপাদন, পরীক্ষা, মোতায়েন, মজুদ এবং এই অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি প্রদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকে ১২২ টি দেশের সমর্থনে এই চুক্তির প্রস্তাব গৃহীত হয়।
এ পর্যন্ত ৮৪টি দেশ এই চুক্তিতে স্বক্ষর করেছে , তবে এরমধ্যে সবগুলো দেশ এখনো টেক্সটে অনুসমর্থন দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়াসহ পরমাণু অস্ত্রধারী দেশগুলো এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।