ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ থামাতে ১৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ এবং ঘটনাস্থল থেকে ৭ দাঙ্গাবাজকে আটক করে নিয়ে যায়। আটককৃতরা হলেন- পরশ মিয়া, খসরু মিয়া, মঞ্জু মিয়া, হাসান আলী, ফুল মিয়া ও বাছির মিয়া। গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছোয়ব আহমেদ হৃতুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে নূরপুর গ্রামের টেণ্ডার পাড়ায় ছায়েব আলী মিয়ার বাড়িতে গানের আসর বসে। সেখানে গান গাওয়া নিয়ে গ্রামের হুমায়ূন কবিরের পক্ষের ফুল মিয়া পরশ মিয়ার পক্ষের শিপন মিয়াকে গালাগাল করে। এ নিয়ে বুধবার বিকালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ ঘটনার জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পুনঃরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে পাঁচজন পুলিশসহ উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একইসঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে ৭ দাঙ্গাবাজকে আটক করে।
এদিকে, আহত পুলিশের এসআই ময়নাল হক ও এসআই আরিফুল ইসলামসহ ৫ পুলিশ সদস্যকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। অন্যান্য আহতদের মধ্যে ১৪ জন নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও চিকিৎসা নেয়। বাকীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা নেয়।
এ ঘটনায় নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ কবির হোসেন বলেন, সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্যসহ ১৫/২০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৮ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে ও ৭ দাঙ্গাবাজকে আটক করে। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনও মামলা হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।