করোনার উৎস সন্ধানে উহান যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানীরা

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

 

 

৯০ বার দেখা হয়েছে

কোভিড-১৯ এর উৎস খুঁজে বের করতে ১০ জন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীর একটি দল আগামী মাসে চীনের উহান শহর সফর করবেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কোভিড-১৯ এর উৎস খুঁজে বের করতে ১০ জন বিজ্ঞানীর একটি আন্তর্জাতিক দল আগামী মাসে চীনের উহান শহর সফর করবেন।

এই বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত পরিচালনা করার ব্যাপারে বেইজিং কখনোই খুব একটা আগ্রহ প্রকাশ করেনি। উহানে তদন্ত পরিচালনা করার অনুমতি পেতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও দীর্ঘদিন যাবত আলোচনা করতে হয়েছে চীনের কর্তৃপক্ষের সাথে। এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি

বিভিন্ন ধরণের প্রাণী বিক্রি করা হয়, উহান শহরের এমন একটি বাজার থেকে এই ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তবে এর আসল উৎস কী, তা নির্ণয় করার প্রশ্নে শুরু থেকেই জটিলতা ছিল। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন শুরু থেকেই চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে যে তারা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি শুরুতে গোপন করেছে।

এই তদন্তের উদ্দেশ্য কী?

তদন্তকারী দলের একজন জীববিজ্ঞানী সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কারো উপর দোষ চাপানোর উদ্দেশ্যে এই তদন্ত পরিচালনা করছে না, বরং ভবিষ্যৎ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে কাজ করছে।

জার্মানির রবার্ট কোক ইনস্টিটিউটের জীববিজ্ঞানী ফ্যাবিয়ান লিনডার্টজ বলেন, “কোন দেশ দোষী, তা খুঁজে বের করার জন্য এই তদন্ত নয়। আসলে কী হয়েছে, তা খুঁজে বের করা এবং সেই তদন্ত থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে আমরা ভবিষ্যৎ ঝুঁকি এড়াতে পারবো কিনা, সেই চেষ্টাই করবো আমরা।”

তিনি জানান, চার থেকে পাঁচ সপ্তাহের এই সফরে ভাইরাসের সংক্রমণ হওয়ার শুরুটা কীভাবে হয়েছিল এবং এটি উহান শহরেই উদ্ভূত হয়েছিল কিনা, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন তারা। ভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকে ধারণা করা হচ্ছিল হুবেই প্রদেশের উহান শহরের একটি জীবিত প্রাণী বেচাকেনার বাজারে ভাইরাসটি প্রথমবার শনাক্ত হয় এবং সেখান থেকেই মানুষের দেহে আসে ভাইরাসটি।

তবে কিছু গবেষণা থেকে ধারণা পাওয়া যায় যে মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে, এমন করোনাভাইরাস বহুকাল ধরেই বাদুড়ের দেহে উপস্থিত ছিল।

ভাইরাসের খবর প্রচারে চীনের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?

জানুয়ারিতে চীনের নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেলথ ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামের প্রধান মাইক রায়ান মন্তব্য করেন যে ‘কঠিন চ্যালেঞ্জ থাকলেও চীনের প্রতিক্রিয়া ছিল ব্যাপক।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল ভাইরাস সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে এবং ভাইরাসের জেনেটিক কোড সম্পর্কিত তথ্য জানাতে বেইজিং দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র সহ বেশ কয়েকটি দেশ চীনের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছিল। চীন ভাইরাস বিষয়ক তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে কতটা স্বচ্ছ ছিল, সেবিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তারা।

চীনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গওডেন গালেয়া বলেন যে শুরুর দিকে ভাইরাস মোকাবেলায় ‘ঘাটতি’ থাকলেও ভবিষ্যতে কীভাবে সেগুলো দূর করা যায় বিশেষজ্ঞরা তা নিয়ে কাজ করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অতিরিক্ত মাত্রায় ‘চীন কেন্দ্রিক’ আচরণ করছে বলে এক পর্যায়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পও সংস্থাটির সমালোচনা করেছিলেন।

আরো পড়ুন