ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনা কর্মকর্তা চার্লস স্টুয়ার্টের (১৭৬৪-১৮৩৭) হিস্ট্রি অব বেঙ্গল থেকে অনুসৃত একটি বিশেষ অধ্যায়:
বাংলার নবাব মুর্শিদ কুলি খান ১৭১৭ থেকে ১৭২৭ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তারপর হাতেগোনা ক’দিন তার জামাতা সুজাউদ্দিন ক্ষমতায় ছিলেন। তারপর এলেন সুজার পুত্র সরফরাজ খান। তার উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে তিনি এতটাই সংবেদনশীল ছিলেন যে পিতার শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুর্গের বাইরে যাননি। একদিকে তিনি মাতামহের অনুসরণে রাজদরবারে নিয়মিত বেতনে কোরআন পাঠের জন্য একাধিক কারী নিয়োগ দেন। ধর্মবেত্তা গুণীজনকে পাশে রাখেন। কিন্তু পিতামহের বিপরীত চরিত্রও দেখা দেয় তার মধ্যে। তিতি আড়ম্বরপূর্ণ হয়ে ওঠেন, দুই হাজার সৈনিকসহ ১০০ ঘোড়সওয়ারির বাহিনী তার সার্বক্ষণিক প্রহরায় নিযুক্ত থাকে এবং তার হারেমে দেড় হাজার সুন্দরী নারীর সমাবেশ ঘটে। তবে তিনি প্রজাপীড়ক ও মাতাল ছিলেন না। নারীঘটিত বিরোধে তিনি কজন শত্রুও সৃষ্টি করেছিলেন। দিল্লির সম্রাট মোহাম্মদ শাহকে দিয়ে নবাব সরফরাজ খানের নিয়োগ বাতিল ও রাজানুগত বিহারের সুবাদার আলিবর্দি খানকে তার স্থলাভিষিক্ত করার জন্য নবাবের বিরোধীরা দিল্লিতে তদবির শুরু করলেন। লবিয়িস্টরা সরফরাজ খানকে কুিসতভাবে সম্রাটের কাছে উপস্থাপন করেন এবং আলিবর্দি খানকে গদিনসিন করলে সরফরাজের বাজেয়াপ্ত সব সম্পত্তি এবং নগদ ১ কোটি রুপি সম্রাট ও পরিষদকে প্রদানের অঙ্গীকার করেন। আলিবর্দি খান তখন বিহারের সুবাদার। সরফরাজের পিতা সুজাউদ্দিনই তাকে রাজমহলের (ঢাকায় স্থানান্তরিত হওয়ার আগে বাংলার রাজধানী) ফৌজদার বা প্রধান সেনাধ্যক্ষ নিয়োগ করেছিলেন। হাজি আহমদ ও জগৎ শেঠ নবাবের ওপর প্রভাব বিস্তার করে রাষ্ট্রীয় ব্যয় কমিয়ে আনেন এবং বহুসংখ্যক অপ্রয়োজনীয় সৈনিককে কর্মচ্যুত করেন। এই হাজি আহমদ আলিবর্দি খানের ভাই।
যেসব সৈনিক কর্মচ্যুত হলেন তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে বিহারে চলে গেলেন এবং সুবাদার আলিবর্দি খানের সৈন্যবাহিনীতে যোগ দেন।
দিল্লিতে অবস্থানরত এজেন্টের মাধ্যমে সরফরাজ তার বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্রের খবর পান এবং তা মোকাবেলার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি আলিবর্দি ও তার স্বজনদের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু রাজদরবারে কর্মরত হাজি আহমদ ষড়যন্ত্রের কথা অস্বীকার করেন এবং বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত নবাবের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখতে অনুরোধ করেন। বার্ষিক হিসাবনিকাশ বুঝিয়ে দিয়ে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়ে দেন।
এদিকে দিল্লির সম্রাটের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা এসাক খানের মাধ্যমে আলিবর্দি খানকে ১৭৪০ সালে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার নবাব নিয়োগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়।
আলিবর্দি জ্যোতিষের সঙ্গে আলোচনা করে রাজধানী মুর্শিদাবাদ যাত্রাকাল সাব্যস্ত করেন, তবে নবাব সরফরাজের সন্দেহ এড়াতে ঘোষণা দেন যে ভোজপুরের বিদ্রোহী জমিদারদের শায়েস্তা করতে সসৈন্যে রওনা হয়েছেন। কৌশলগত কারণে বিহারের পাটনা ও বাংলার মুর্শিদাবাদের মধ্যে সব ধরনের যোগাযোগের পথ রুদ্ধ করে ফেলেন। প্রথমে তার বাহিনীর সৈন্যরাও জানতেন যে তারা ভোজপুর আক্রমণ করতে যাচ্ছেন। পাটনা থেকে বাংলার পথে পাহাড়ি সংকীর্ণ পথও তিনি অধিকার করে নেন। যাত্রাপথে দূত মারফত নবাব সরফরাজের কাছে একটি চিঠিও পাঠান:
আমার ভাই হাজি আহমদের ওপর আপনি অনেক অবিচার করেছেন এবং আমার পরিবারের সদস্যদের অসম্মানিত করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাদের এর বেশি অসম্মান থেকে রক্ষার জন্য আপনার অনুগত কর্মচারী হয়েও আমাকে এতদূর আসতে হয়েছে। আমি আপনার একান্ত অনুগত ও বিশ্বস্ত, এছাড়া আমার কোনো উদ্দেশ্য নেই। আপনার অনুগত কর্মচারীর একান্ত অনুরোধ হাজি আহমদকে তার পরিবার-পরিজনের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ দেবেন।
আলিবর্দি খানের পত্রবাহক মারফত হস্তগত হওয়ার পর নবাব সরফরাজ খান বিচলিত হলেন। আলিবর্দির ঔদ্ধত্য তাকে বিস্মিত করল। তিনি তখনই তার পরিষদের বৈঠক ডাকলেন এবং বৈঠকে হাজি আহমদকেও উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিলেন। পরিষদও হাজি আহমদের ওপর ক্ষিপ্ত। তার উদ্ধত ভাইয়ের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ রাখার অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হলো এবং তখনই তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা উচিত বলে জানানো হলো, কিন্তু এসব কথা ও হুমকিতে এতটুকও বিচলিত না হয়ে স্বাভাবিক ও শান্ত কণ্ঠে আহমদ বললেন, ভুল বোঝার কোনো কারণ নেই। তিনি জানেন চিঠিতে আলিবর্দি যা বলেছেন এর অতিরিক্ত কোনো কিছু তার চাওয়ার নেই।
হাজি আহমদ নবাবকে প্রতিশ্রুতি দিলেন যদি সদাশয় সুলতান তাকে ভাইয়ের কাছে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করেন, তাহলে পৌঁছা মাত্র তিনি আলিবর্দি ও তার বাহিনীকে পাটনামুখী যাত্রা করতে বাধ্য করবেন। তার প্রস্তাবে সুলতানের পরিষদ দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করল। একদল মনে করল হাজি আহমদকে বিশ্বাস করা ঠিক হবে না। এখান থেকে মুক্তি পেলে বিশ্বাসঘাতকতা অব্যাহত রাখবে, অন্যদল মনে করলে তাকে আটকে রেখে বরং অধিকতর শত্রুভাবাপন্ন করে তোলা হবে। তার চেয়ে তাকে ছেড়ে দিয়ে তার সততার পরীক্ষা করা হোক। তারা মনে করলেন আলিবর্দিকে পাটনায় ফিরিয়ে নেয়াটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। নবাব তাদের প্রস্তাবে সম্মত হলেন।
অনুমতি পেয়ে কালবিলম্ব না করে হাজি আহমদ তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদ ছেড়ে ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য পাটনার পথে রওনা হলেন। পথে তিনি একটু সময় নিয়ে নবাবকে একটি পত্র লিখলেন, যা দূতের মাধ্যমে রাজধানীতে প্রেরণ করা হলো। চিঠিতে তিনি নবাবকে নিশ্চিত করেন যে তার ভাই আলিবর্দি খান সুলতানের বিশ্বস্ত ও অনুগত ভৃত্যদের একজন। ‘কিন্তু যেহেতু তিনি একটি শক্তিশালী বাহিনীর প্রধান তাকে ভুল না বোঝাই মঙ্গলজনক; তিনি আপনাকে সম্মান জানাতে এবং কিছু অভিযোগের কথা বলতে এলে তাকে বাধা দেয়া বা তার বিরোধিতা করা আপনার সমীচীন হবে না। এ রকম পরিস্থিতি হলে আপনি অসন্তুষ্ট হয়ে আপনার প্রাসাদ ছেড়ে চলে যাওয়ার কিংবা তাকে মোকাবেলা করার জন্য আপনার সৈন্যবাহিনী নিয়ে এগোনোর কথা ভাববেন না। আলিবর্দি খান জানেন যে আপনার দরবারে তার প্রতি শত্রুভাবাপন্ন কেউ কেউ রয়েছেন। আপনি যদি সেই শত্রুদের কারো কথায় প্রভাবিত হন, তাহলে আমার আশঙ্কা এতে আলিবর্দি হাতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন এবং তখন এমন কোনো কাজ করে বসতে পারেন, যা বিপজ্জনক ফলাফল বয়ে আনতে পারে বলে আমার ধারণা।’
তিনি রাজমহলে আলিবর্দি খানের সঙ্গে মিলিত হলেন (রাজমহল বর্তমান ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সাহেবগঞ্জ জেলায় গঙ্গা নদীর তীরে)। নবাব সরফরাজ খানকে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অন্তত লোক দেখানোর জন্য হলেও আলিবর্দি খানের হস্তীর দিকে ঘুরিয়ে পাটনামুখী করা এবং কিছু দূর অগ্রসর হওয়ার কথা বলেন, তাতে নবাবের কাছে আশ্বস্ত করা একটি বার্তা যাবে। আলিবর্দি খান পরামর্শ মেনে নিলেন।
তবে এর মধ্যে নবাব তার সব সেনা ডাকেন এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে মুর্শিদাবাদের ২২ মাইল উত্তরে ঘেরিয়ায় সমবেত হওয়ার নির্দেশ দেন। নবাবের বাহিনীতে অশ্বারোহী ও পদাতিক সৈন্য মিলে ৩০ হাজার, তাদের সঙ্গে রয়েছে কামান ও পর্যাপ্ত গোলাবারুদ। সংখ্যায় বেশি হলেও এই সৈন্যরা আলিবর্দির বাহিনীর সৈন্যদের মতো প্রশিক্ষিত ও সাহসী যোদ্ধা নয়। তাদের অনেকেই আনুগত্যে প্রশ্নবিদ্ধ। অস্ত্রাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাধ্যক্ষ শাহরিয়ার খান ছিলেন হাজি আহমদের সঙ্গে অধিকতর সম্পর্কিত। তিনি ঘেরিয়া সেনাশিবিরে গোলাবারুদ প্রেরণ করতে গড়িমসি করেন এবং তা একটি ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই মনে করা হয়। তাকে অপসারণ করে পর্তুগিজ সৈন্য গাঞ্চুকে গোলন্দাজ কমান্ডার নিয়োগ করা হয়। নবাব তার দুজন দূতকে আলিবর্দির কাছে পাঠান। তারা সুবাদারের প্রকৃত ইচ্ছা জানার চেষ্টা করবেন এবং ফিরে এসে নবাবকে জানাবেন।
১১৫৩ হিজরির ২২ মহরম, ইংরেজি ১৭৪০ সাল, নবাব সরফরাজ কোমরা নামক স্থানে সমতলে তাঁবু খাটালেন। প্রয়োজনে এখান থেকেই যুদ্ধের নেতৃত্ব দেবেন। তার প্রেরিত দূত দুজন ফিরে এসে তাকে অশ্বস্ত করেন যে আলিবর্দি একজন বিশ্বস্ত ও অনুগত কর্মচারী, এতে সন্দেহ নেই। এই দূত দুজন যখন ফিরে আসেন আলিবর্দি তাদের সঙ্গে নিজস্ব একজন দূতও প্রেরণ করেন। মোহাম্মদ আলী নামের সেই দূত সুবাদারের একটি আবেদনপত্র নবাবের কাছে পেশ করেন। তাতে আলিবর্দি খানের কিছু অনুরোধ সংযোজিত ছিল। নবাবের দরবার থেকে কজন দুশমন অপসারণ করলেই আলিবর্দি খান সব লোকলস্কর পেছনে ফেলে সম্পূর্ণ একা এসে নবাবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে যাবেন। তার দূত চিঠির সঙ্গে সুবাদারের দেয়া একটি ছোট্ট বাক্সও বহন করে। তাতে ছিল কোরআন শরিফ। এর অর্থ হলো তিনি যা বলেছেন সব কোরআনের শপথ করেই বলেছেন। কাজেই নবাবের সন্দিহান থাকার কোনো কারণ নেই।
আলিবর্দি খান তখন নবাবের শিবির থেকে ১২ মাইলের মধ্যে। তিনি তখনো নবাবকে লেখা তার চিঠির কোনো জবাব পাননি। এবার তিনি সম্পূর্ণ ক্ষমা প্রার্থনা করে অরেকজন দূতের মাধ্যমে নবাবকে আরেকটি পত্র পাঠান।
কিন্তু এটি ছিল আলিবর্দির একটি রণকৌশল। নবাব বুঝতে পারেননি যে তিনি প্রতারিত হচ্ছেন। বরং নবাব আদেশ দেন যেন সুবাদার আলিবর্দি খানকে যথেষ্ট জাঁকজমক ও মর্যাদার মধ্যে স্বাগত জানানো হয়। নবাবের সৈন্যরা ধরে নিল বিরোধের নিষ্পত্তি হতে যাচ্ছে, সমঝোতা হয়ে গেছে। তারা নিরাপত্তামূলক প্রতিরক্ষা ব্যূহ প্রত্যাহার করে নিল।
আলিবর্দি খান তার সৈন্যবাহিনী আক্রমণের জন্য প্রস্তুত রাখেন। সন্ধ্যায় যুদ্ধ শুরু হবে। তিনি আগের রাতে সৈন্যদের তিন ভাগ করে এক ভাগকে নির্দেশ দিলেন নবাবের অবস্থানের ঠিক পেছনে এসে প্রস্তুত থাকতে। যখন অন্য দুই ভাগ আক্রমণ চালাবে, তারাও পেছন থেকে এগিয়ে আসবে এবং তখন সম্মিলিত আক্রমণ পরিচালিত হবে।
যখন নবাবের তাঁবুর পাশ দিয়ে আগুনের গোলা চলে যায়, প্রচণ্ড শব্দে তিনি জেগে ওঠেন এবং আলিবর্দির বিশ্বাসঘাতকতা টের পান। সরফরাজ খান কাপুরুষ ছিলেন না, তিনি হাতির পিঠে চেপে রণক্ষেত্রে আলিবর্দির দিকে রওনা হলেন।
ততক্ষণে নবাবের হাতির মাহুত স্পষ্ট বুঝে গেছেন ৩০ হাজারের বাহিনী যত বড়ই হোক না কেন তার পেছনে খুব কমসংখ্যক সৈন্যই আছে। পরিস্থিতি অনুধাবন করে অন্যরা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে কিংবা দলবদল করতে যাচ্ছে।
মাহুত নবাবকে অনুরোধ করলেন, চলুন বীরভূম চলে যাই। বীরভূমের জমিদার ক্ষমতাশালী, নবাবের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি নবাবকে রক্ষা করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবেন এবং মিত্রদের সঙ্গে তার সংযোগ ঘটিয়ে দেবেন।
কিন্তু নবাব মাহুতের পরামর্শ গ্রহণ করলেন না। তিনি সম্ভবত তার পরিণতি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তিনি মূল রণক্ষেত্রের দিকে এগোতে থাকলেন। তিনি নিজে ছিলেন নিপুণ তীরন্দাজ। তিনি ক্রমাগত তীর ছুড়তে ছুড়তে এগোন, একসময় তার তুণীর শূন্য হয়ে আসে। তখন একটি গোলার আঘাত তার মাথায় লাগে এবং ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই নবাবের আফগান সৈন্যদল ছাড়া আর সবাই রণভঙ্গ দিয়ে পালিয়ে যায়। কেউ কেউ চলে আসে আলিবর্দির দলে।
বিজয়ী সৈন্যরা যখন নবাবের শিবির লুণ্ঠনে ব্যস্ত তখন তার হস্তীর মাহুত সবার চোখ এড়িয়ে নবাবের মৃতদেহ তুলে নেয় এবং মুর্শিদাবাদ পঠিয়ে দেয়।
বিজয়ী সুবাদার আলিবর্দি খান সরফরাজের মরদেহের রক্তক্ষরণ শেষ হওয়ার আগেই নতুন নবাব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।