বাংলাদেশ-ভারত শীর্ষ বৈঠক আজ। পানি সমস্যা, সীমান্তের অনিশ্চয়তা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক বিষয় প্রাধান্য পাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই ভার্চুয়াল বৈঠকে। বৈঠকটি বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়ে দেড় ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে বলে জানা গেছে।
এছাড়া আগামী বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। সেই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর নিয়েও আলোচনার কথা রয়েছে শীর্ষ বৈঠকে।
ভারত বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী, বন্ধুপ্রতীম দেশ। শুধু ভৌগলিক অবস্থানে নয়, দুই দেশের সম্পর্কজুড়ে আছে প্রায় অভিন্ন ইতিহাস-ঐতিহ্য। মুক্তিযুদ্ধসহ আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় দুই দেশের মধ্যে রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। সেই ধারাবাহিকতায় এখনও পথ চলা। বর্তমানে এটি আছে অনন্য উচ্চতায়।
প্রতিবেশী হিসেবে দুই দেশের মধ্যে কিছু অমিমাংশিত বিষয় থেকেই যায়। সব সময়ই আলাপ-আলোচনায় সমাধানের পক্ষে দুই দেশ। মুজিববর্ষে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসার কথা থাকলেও বিশ্ব মহামারীতে পিছিয়ে যায় সফর।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের বাস্তবতায় শীর্ষ বৈঠক হচ্ছে না দীর্ঘ সময় ধরে। দেরিতে হলেও ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই বৈঠক।
এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বৈঠকে স্থল সীমান্ত ও সীমান্তে অনিশ্চয়তা, সমুদ্রসীমা, পানি সমস্যাসহ অমিমাংসিত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে দুই সরকার প্রধানের। চারটি সমঝোতা স্বারক এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায় এমন প্রকল্পের উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রতিককালেও ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক সোনালী অধ্যায়। অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট উদ্বোধন হবে। আমাদের বড় বড় ইস্যু, যেগুলো সব সময় আমরা তুলে থাকি সেই ইস্যুগুলো উত্থাপন হবে।’
একই সঙ্গে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের বিষয়টিও স্থান পাবে বৈঠকে। নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়েও আলোচনার কথা রয়েছে।
ড. একে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে একটি রক্তের সম্পর্ক, ঐতিহাসিক সম্পর্ক। ভারত আমাদের সব সময় বন্ধু এবং আমাদের বিজয়ে তাদেরও যথেষ্ট অহংকারের কারণ আছে।’
জানা গেছে, নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের কুচবিহারের হলদিবাড়ি রেলপথও উদ্বোধন করবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। ৫৫ বছর পর চালু হওয়ার পর প্রথম দফায় চলবে মালবাহী ট্রেন।