যে অভিযোগে ইরানের সাংবাদিক রুহুল্লাহ জামের ফাঁসি

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

 

 

৯৬ বার দেখা হয়েছে

ইরানের সাংবাদিক রুহুল্লাহ জামের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) তাকে ফাঁসি দেয়া হয়। এর আগে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তার মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি বহাল রাখে। মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে অসন্তোষ সৃষ্টির উস্কানি দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে ।

‘আমাদনিউজ’ নামে একটি ওয়েবসাইট চালাতেন রুহুল্লাহ জাম। ইরান সরকারের বিরোধী এই নিউজ ওয়েবসাইট বেশ জনপ্রিয় ছিল। ইরান সরকার অভিযোগ করেছিল, আমাদনিউজ ২০১৭-১৮ সালে দেশজুড়ে যে বিক্ষোভ হয়, তাতে উস্কানি দিয়েছিল।

সাংবাদিক রুহুল্লাহ জাম ফ্রান্সে নির্বাসিত জীবনযাপন করছিলেন। গত বছর তিনি ইরাকে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে তাকে ধরা হয়েছিল বলা হলেও তবে এটি পরিষ্কার নয়।

এর আগে ইরানের ইসলামিক রেভুলিউশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) বলেছিল, তারা ‘আধুনিক গোয়েন্দা তথ্য এবং উদ্ভাবনী কৌশল’ প্রয়োগ করে রুহুলাহ জামকে আটক করে।

আমাদনিউজ মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে যেসব সাংকেতিক বার্তা শেয়ার করতো, সেগুলো ফলো করতো প্রায় দশ লাখ মানুষ। এই নেটওয়ার্কে আমাদনিউজ ইরান সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের খবর ছাড়াও ইরানি কর্মকর্তাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করতো।

ইরান সরকার এই ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু পরে এটি আবার ভিন্ন নামে আত্মপ্রকাশ করে।

রুহুল্লাহ জাম ছিলেন ইরানের সংস্কারপন্থী ধর্মীয় নেতা মোহাম্মদ আলি জামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে এ বছরের শুরুতে ‘বিশ্বকে কলুষিত’ করার অভিযোগ আনা হয়। এটি ইরানের সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের একটি বলে বিবেচনা করা হয়।

রুহুল্লাহ জামকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিল ফ্রান্স। এ সপ্তাহের শুরুতে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রুহুল্লাহ জামের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছিল। তারা এটিকে ‘ইরানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত’ বলে বর্ণনা করে।

মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, রুহুল্লাহ জাম ‘অন্যায্য বিচারের’ শিকার হয়েছেন। কারণ তার বিচার করা হয়েছে ‘জোর করে আদায় করা স্বীকারোক্তির’ ভিত্তিতে।

বার্তা সংস্থা এপি’র মতে, রুহুল্লাহ জাম পরে টেলিভিশনে হাজির হয়ে তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন।

আরো পড়ুন