আজারবাইজানের নাগোরনো-কারাবাখে সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে তুরস্কের সংসদ। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) এ সম্বলিত প্রস্তাব উত্থাপন করে এরদোগান সরকার। প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রস্তাবটি সংসদে পাস হয়েছে।
এর আগে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণের জন্য সে দেশে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। তবে বিদেশে সেনা মোতায়েনের জন্য সংসদের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল।
তুর্কি সেনারা এক বছরের জন্য সেখানে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে প্রায় ২ হাজার রুশ শান্তিরক্ষী সেনাও ওই অঞ্চলে মোতায়েন আছে। উল্লেখ্য, নাগার্নো-কারাবাখ যুদ্ধের শুরু থেকেই আজারবাইজানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তুরস্ক।
দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহের যুদ্ধের পর গত মঙ্গলবার রাশিয়ার তত্ত্বাবধানে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নাগার্নো-কারাবাখে যুদ্ধ বন্ধে সম্মত হয়েছে। চুক্তির বাস্তবায়ন তদারকি করতে এরই মধ্যে নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলে রুশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
এই দুই দেশের স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বলা হয়েছে- আর্মেনিয়া দখলীকৃত অগদাম, লাচিন ও কালবাজার এলাকা আজারবাইজানের কাছে হস্তান্তর করবে।
চুক্তি অনুযায়ী- কারাবাখ অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য আজারবাইজানের লাচিনকে করিডোর হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি পাবে আর্মেনিয়া। তবে এর বিনিময় আর্মেনিয়াও আজারবাইজান ও নাখচিভান প্রজাতন্ত্রের মধ্যে পণ্য আনা-নেয়ার জন্য করিডোর সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সূত্র- রয়টার্স।