অর্থনৈতিক অগ্রগতি, ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং সরকারের স্থিতিশীলতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন সফররত মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদে তিনি জানান রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বসে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক। দুই ঘণ্টা স্থায়ী এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্রাটেজি, এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।
পরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সফররত মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান।
স্টিফেন বিগান জানান, রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু আঞ্চলিক নয় বৈশ্বয়িক সমস্যা। তাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সাথে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি আরও জানান, করোনা মহামারি মোকাবেলায়, সহজে প্রতিষেধক পেতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের পরারাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জঙ্গিবাদের বিষয়ে জিরো টলারেন্সের নীতির বিষয়ে এক মত দুই দেশ। তথ্য প্রযুক্তি, জ্বালানি ও ব্লু ইকোনমিসহ নানা খাতে উন্নয়ন সহযোগী হতে আগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আইন পর্যালোচনার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, খুনী তার দেশে আছে। এটা নিয়ে তার সাথে আলাপ হয়েছে।