করোনার জন্য নতুন প্রণোদনার দাবি বাতিল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার সিদ্ধান্তকে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। নভেম্বরে নির্বাচনের আগে ফের বিতর্কিত পদক্ষেপ নিলেন ট্রাম্প। খবর ডয়চে ভেলে’র।
গত মঙ্গলবার করোনার জন্য নতুন করে প্রণোদনার দাবি খারিজ করে দেন ট্রাম্প। জানিয়েছেন, নির্বাচনের পরে এ বিষয়ে নতুন করে ভাবনা চিন্তা হবে। স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ নিয়ে সরব হয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা। ট্রাম্পের নিজের দলের ভিতরেও সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এ বছরের গোড়ায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য ঐতিহাসিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমে মার্কিন কংগ্রেসে তা পাশ হওয়ার পরে প্রেসিডেন্ট সেই বিলে সই করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও করোনা পরিস্থিতির বদল হয়নি। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। বহু মানুষ ঠিক মত বেতন পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মার্কিনদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নতুন একটি প্রণোদনার দাবি তুলেছিলেন ডেমোক্র্যাটরা।
মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার এবং ডেমোক্র্যাট নেতা ন্যান্সি পেলোসির সঙ্গে সেই প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা চলছিল সরকারের। মঙ্গলবার আচমকাই ট্রাম্প জানিয়ে দেন, আপাতত ঐ প্রণোদনা দেওয়া হবে না। ফলে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে আপাতত আলোচনার আর প্রয়োজন নেই। পেলোসি সংকীর্ণ স্বার্থে এই প্রণোদনা নিয়ে আলোচনা করছেন বলেও আক্রমণ করেছেন ট্রাম্প। তার বক্তব্য, ডেমোক্র্যাট রাজ্যগুলিতে অন্যায়ভাবে অর্থ খরচের জন্যই ঐ প্রণোদনা চাওয়া হচ্ছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, নির্বাচনে জয়লাভের পরে তিনি সাধারণ মার্কিনিদের জন্য নতুন করে প্রণোদনার ব্যবস্থা করবেন।
উল্লেখ্য, চলতি আলোচনায় ডেমোক্র্যাটরা ২.২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রণোদনার দাবি করেছিল। সরকার প্রাথমিকভাবে ১.৬ ট্রিলিয়ন ডলার দিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা তা মানতে চাইছিলেন না। আচমকাই ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরে তাকে তীব্র আক্রমণ করেছেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন। বলেছেন, এটাই ট্রাম্পের থেকে প্রত্যাশিত।
ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরে পেলোসি জানিয়েছেন, নভেম্বরের পরে ট্রাম্পের ফেরার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। নির্বাচনের পরে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট শপথ নেওয়ার আগে একটি সময় থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে যাকে বলা হয় ‘লেম ডাক’। তার দাবি, ঐ সময়েই নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। এদিকে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন রিপাবলিকান সদস্যরাও। মার্কিন সাধারণ মানুষের সঙ্গে ট্রাম্প অন্যায় করেছেন বলে সরব হয়েছেন তারা।