ঢাকা ও ওয়াশিংটন বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করতে টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থার সুবিধার্থে এবং আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে।
কোভিড ১৯ মহামারির কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে এবং অবাধ, মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ,শান্তিপূর্ণ ও সুরক্ষিত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অভিন্ন অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের অগ্রযাত্রা বিষয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা প্রতিফলিত হয়। আজ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এ কথা জানায়।
৩০ সেপ্টেম্বর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশ বিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট কিথ ক্র্যাচ এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের যৌথ সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের পরে এই যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে উভয় পক্ষ দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব ও বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বিনিয়োগ, জ্বালানি, ডিজিটাল নীতি, ব্লু ইকোনমি, যোগাযোগ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কোঅপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট (টিকফা) বিষয় দুই সরকারের মধ্যে কাউন্সিল বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ দেশের অর্থনৈতিক জোনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশে জ্বালানি, ব্লু ইকোনমি, যোগাযোগ ও জনস্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এবং উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তারা বৈঠকে যোগ দেন। সরকারী হিসাবে ১০ বছরে উভয়পক্ষে বাণিজ্য দ্বিগুণ বেড়ে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।