মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জেঁকে বসা করোনায় দীর্ঘ হয়েই চলেছে প্রাণহানির তালিকা। তবে গত দিনের চেয়ে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ২৯ হাজার ৯৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমিতের সংখ্যা সাড়ে ৬৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ প্রায় ৯৩ হাজার ২৫০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। অধিকাংশই ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির বাসিন্দা। তবে সুস্থতার হার অনেকটা কম। আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেক রোগী স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে( বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল), গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রাণ গেছে ৪৩২ জনের। এর আগের দিন মারা গেছেন ৭০৭ জন মার্কিন নাগরিক। অন্যদিকে গত একদিনে সুস্থতা লাভ করেছেন প্রায় ৩০ হাজার জন। এতে করে পুনরুদ্ধার হওয়ার সংখ্যা ৩৭ লাখ ২৫ হাজার ৯৭০ জনে দাঁড়িয়েছে।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ধারণা ইতোমধ্যে তাদের দেশের অন্তত ২০ মিলিয়ন (দুই কোটি) মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন। দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) বলছে, ‘প্রকৃত তথ্য হলো, প্রকাশিত সংখ্যার অন্তত ১০ গুণ বেশি মানুষ করোনার ভয়াবহতার শিকার।’
এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা এখন ক্যালিফোর্নিয়ায়। প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও এ শহরে করোনার শিকার ৭ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৭৩০ জনের। সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে দীর্ঘ হয়েই চলেছে টেক্সাসে। এ শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ১৩ হাজার ৭৭৭ জনের। ফ্লোরিডায় করোনার শিকার ৬ লাখ ৪৬ হাজার অতিক্রম করেছে। ইতোমধ্যে সেখানে ১১ হাজার ৮৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণহানিতে শীর্ষ শহর নিউইয়র্কে আক্রান্ত ৪ লাখ সাড়ে ৭২ হাজার পেরিয়েছে। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৩৩ হাজার ৭২ জন মানুষ। জর্জিজায় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৮৩ হাজারের অধিক। মৃত্যু হয়েছে সেখানে ৬ হাজার ৩৭ জনের। ইলিনয়েসে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী আড়াই লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৩৯০ জন।
অ্যারিজোনায় করোনা হানা দিয়েছে ২ লাখ সাড়ে ৫ হাজার মানুষের দেহে। যেখানে প্রাণ ঝরেছে ৫ হাজার ২২১ জনের। নিউ জার্সিতে করোনার শিকার ১ লাখ ৯৭ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৬ হাজার ৯১ জনের। বর্তমানে সেখানে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ভাইরাসটি।
এছাড়া, ম্যাসাসুয়েটসস, পেনসিলভেনিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা, লুসিয়ানা, টেনেসি ও অ্যালাবামার মতো শহরগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।