সন্ত্রাস, মাদক এবং ভাই মুক্ত যুবলীগ গঠনে ভূমিকা রাখতে চাই/মাইনুর ইসলাম রানা

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

 

 

৩২১ বার দেখা হয়েছে

মিরসরাইয়ের একমাত্র অভিভাবক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এর ছায়াতলে থেকে তাঁর পরামর্শে মিরসরাইয়ের যুব সমাজকে সন্ত্রাস, মাদক ও ভাইমুক্ত করে প্রিয় নেতার স্বপ্নের মিরসরাই গঠনে ভূমিকা রাখতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মাইনুর ইসলাম রানা।

চলমান টুয়েন্টিফোর এর সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে মাত্র একজন নেতার নীতি, নৈতিকতা, উদারতা, জনগনের প্রতি ভালোবাসা, নেতাকর্মীদের প্রতি মমত্ববোধ নিয়ে গর্ব করি তিনি হলে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি মিরসরাইকে বিশ্বের বুকে পরিচিতি এবং প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে কাজ করে চলেছেন। একমাত্র তাঁর কল্যাণে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের পাশাপাশি মিরসরাইও সমাদৃত। প্রিয় নেতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত যুবলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, এই অঞ্চলের বটবৃক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নাম বিক্রি করে তাঁর ছায়া তলে থেকে জিরো থেকে হিরো হয়েছেন অনেকে। একজনকে রাস্তা থেকে তুলে এনে সম্মান দিয়েছেন। অর্থ, বিত্তের মালিক হয়েছেন। সময়ে প্রিয়নেতার সাথে বেঈমানি এবং সম্মান হানির অপচেষ্টা করে চলেছেন বারবার। প্রিয় নেতার ছায়াতলে থেকে নতুন করে আরো ‘ভাই’ জম্ম নেওয়ার সুযোগ খুঁজছেন। আমি স্পষ্ট বলে দিতে চাই মিরসরাইতে এসব স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। মিরসরাইতে অভিভাবক একজন, ভবিষ্যৎ অভিভাবক মাহবুব রহমান রুহেল। এর বাইরে কোন ‘ভাই’ জন্ম নেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করলে আমি যুবলীগ নিয়ে প্রতিহত করবো ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে নিরলস কাজ করে চলেছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে ভূমিকা পালন করবে এদেশের যুব সমাজ। যুব সমাজকে মাদক ও সামাজিক অবক্ষয় থেকে বেরিয়ে এসে দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

মিরসরাইয়ের আগামির অভিভাবক আইটি বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব রহমান রুহেল বরাবরই দক্ষ যুব সমাজ গঠনের প্রতি জোর ইঙ্গিত দিয়ে এসেছেন। প্রিয় নেতার এমন সিদ্ধান্তও বাস্তবায়নে মিরসরাই উপজেলা যুবলীগ সচেষ্ট থাকবে। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় এবং ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে নেওয়া যেকোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সর্বাত্মভাবে আত্মনিয়োগ করবো বলে মন্তব্য করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ক্লীন ইমেজের এই নেতা।

প্রসঙ্গত : মাইনুর ইসলাম রানা ১৯৯৯ সালে সরকারহাট এনআর উচ্চ বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তিনি হাদিফকিরহাট রাসেল স্মৃতি সংসদের কার্যক্রমের সাথে জড়িয়ে পড়েন। ২০০২ সালে রাসেল স্মৃতি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।২০০১ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ১ম বর্ষ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। এরপর কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান।২০১২ সালের নভেম্বরে মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়কের দায়িত্ব পেয়ে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে সম্মেলনের মাধ্যমে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন। রানা নেতৃত্বাধীন উপজেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন আহবায়ক কমিটি মিরসরাইয়ের ছাত্ররাজনীতির মাইলফলক সৃষ্টি করেন। হামলা, মামলা, নির্যাতন দমিয়ে রাখতে পারেনি রানাকে। বিএনপি সরকারের শাসনামলে তার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা দায়ের করা হয়। নিজ দল ক্ষমতায় থাকালীন সময়েও প্রতিহিংসার কারণে মামলা দেয়া হয় তার বিরুদ্ধে। এই পর্যন্ত ৩ বার কারাবরণ করেছেন তিনি।মাইনুর ইসলাম রানা ১৯৮৪ সালে মিরসরাই উপজেলার ১৫ নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মোঃ আবুল কালাম দীর্ঘসময় মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিঃ কর্মরত থাকার পর এখন অবসরে রয়েছেন।তিনি ২০১২ থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। মা জরিনা বেগম গৃহিণী। সরকারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাইমারি শেষ করেন। ২০০০ সালে সরকারহাট এনআর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শাখায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম বোর্ডে ১৩তম স্থান অর্জন করেন। এরপর বিদ্যালয় ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিদ্যালয় মাঠে তাকে বিশাল সংবর্ধনা দেয়া হয়।২০০২ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে স্টারমার্ক নিয়ে উত্তীর্ণ হন। একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৭ সালে বিবিএস (অনার্স) ও ২০০৮ সালে মাস্টার্স পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেন।২০১০ সালে ইষ্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি থেকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এমবিএম পাশ করেন। শিক্ষা জীবনের প্রতিটি পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন।তার সহপাঠিরা আজ দেশ বিদেশে উচ্চ আসনে আসিন হলেও রাজনীতির নেশায় এখনো পড়ে আছেন অজোপাড়াগাঁয়ে। তিনি কখনো রাজনীতিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেননি

আরো পড়ুন