ট্রাম্পকে অভিশংসনে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

 

 

২০৫ বার দেখা হয়েছে

মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতীক বলে পরিচিত ক্যাপিটাল হিলের ভেতরে ট্রাম্প সমর্থকরা যেভাবে সহিংসতা চালিয়েছে তাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসনের দাবি উঠে। সেই প্রেক্ষিতে কালকের মধ্যেই ভোট হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন হাউজ অফ রেপ্রেজেন্টেটিভসের হুইপ জেমস ক্লাইবার্ন।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থানে প্ররোচনা’ দেয়ার অভিযোগ আনার পরিকল্পনা করছেন তারা। যদি এই অভিশংসন প্রক্রিয়া পরিকল্পনা মাফিক এগোয় তাহলে ট্রাম্প হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দুইবার অভিশংসন হওয়া একমাত্র প্রেসিডেন্ট।

সেজন্য অভিশংসন অভিযোগ হাউজে ভোটে পাস হতে হবে। তারপর বিষয়টি যাবে সিনেটে, যেখানে প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করতে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট দরকার হবে।

শুধু ডেমোক্র্যাটরা নয়, রিপাবলিকানদের অনেকেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সেদিনের সংহিসতা উস্কে দেয়ার অভিযোগ করছেন।

রিপাবলিকান সিনেটর প্যাট টুমি ট্রাম্পের পদত্যাগ দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় দেশের জন্য এখন সবচেয়ে ভাল হবে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প পদত্যাগ করে দ্রুত বিদায় নেন। আমি জানি, তা হয়তো হবে না। কিন্তু এটা হলেই ভাল হতো।’

এর আগে আলাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর লিসা মারকাউস্কি প্রথম ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। এছাড়া নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর বেন স্যাসেও ট্রাম্পের অভিশংসন নিয়ে কথা বলেছেন।

আরও এক রিপাবলিকান ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক গভর্নর আর্নল্ড সোয়ার্জনেগার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘সবচেয়ে জঘন্য প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এদিকে সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী কাজে লাগিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টার কথা একেবারে উড়িয়ে দেননি ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। 

ভাইস-প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন খবর দিয়েছে যে, আগামী ২০ জানুয়ারি জো বাইডেনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে প্রেসিডেন্ট যদি আরও ভারসাম্য হয়ে পড়েন, তাহলে সেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় এমন বিকল্প হাতে রেখে দিতে চান পেন্স।

ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করেননি। তবে রোববার হোয়াইট হাউজ থেকে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টেক্সাসে যাবেন। মেক্সিকোর সাথে সীমান্তে যে দেয়াল তোলা হচ্ছে তার কাজ পরিদর্শন করবেন।

হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে অভিশংসনের উদ্যোগকে রাজনৈতিক চাল বলে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এতে দেশের মধ্যে বিভাজন আরও বৃদ্ধি পাবে।

প্রসঙ্গত, সংঘর্ষের দিন কয়েকজন পুলিশের বিরুদ্ধে সাদা পোশাকে র‍্যালিতে অংশ নেয়ার অভিযোগ ওঠার পর তা তদন্ত শুরু হয়েছে। তাদেরকে কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।

আরো পড়ুন