‘গুম ও খুন হওয়া মানুষের আর্তনাদ সরকারের কানে পৌঁছায় না’

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

 

 

১৮৬ বার দেখা হয়েছে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গুম ও খুন হওয়া মানুষের আর্তনাদ সরকারের কানে পৌঁছায় না। গুম ও খুন হলো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। গুম ও খুনের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের আর্তনাদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আর কতকাল, কত দিন আমরা এভাবে অশ্রু ফেলব।’
স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির ‘গুম-বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার’ নেতা-কর্মীদের পরিবারকে সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া বিদেশ থেকে স্কাইপের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গুম হওয়া, খুন হওয়া মানুষের আর্তনাদ সরকারের কানে পৌঁছায় না। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে এতটুকু দ্বিধা করে না।’ তিনি বলেন, ‘অবলীলায় তারা মিথ্যা কথা বলে, অবলীলায় মানুষকে বিভ্রান্ত করে। আমরা যখন নিখোঁজ বা গুম হওয়ার কথা মানুষের সামনে বারবার করে তুলে ধরি, তারা বলেন, “অনেকে চলে যায়, নিজেরা নিজেরা চলে যায়। তারা নাকি হারিয়ে গেছে। অনেকে বলে এ ধরনের কোনো ঘটনাই নাকি ঘটে নাই”।’
গুম হওয়ার পরিবারের আর্তনাদের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আর কতকাল, কত দিন আমরা এভাবে চোখের অশ্রু ফেলব? আজকে যারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে, যারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে, অধিকারের জন্য লড়াই করে, তাদের নির্মম-নির্যাতন-অত্যাচারের শিকার হতে হয়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গুম হলো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। জাতিসংঘের চার্টারে সেটা আছে। অথচ সেটা বাংলাদেশে অবলীলায় ঘটে যাচ্ছে। আমরা দেখি সেনাপ্রধান আর আইজি—দুজন পাশাপাশি বসে প্রেস কনফারেন্স করেন। মেজর (অব.) সিনহার গুলির পরে বলেন এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কার কাছে যাব? কোথায় যাব? কী বলব?’
পরিবর্তনের জন্য জনগণকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ তাই মানুষের কাছেই আমাদের যেতে হবে, তাদের জাগিয়ে তুলতে হবে। সে লক্ষ্যেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং গুম ও খুনের শিকার কয়েকজনের পরিবারের সদস্যরা। অনুষ্ঠানস্থলে বিএনপির অন্য নেতা–কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন