বিশ্বের সবচেয়ে ধনী, অনলাইন প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস সত্যি সত্যি বিচ্ছেদে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে স্ত্রী ম্যাকেনজিও সম্মতি দিয়েছেন। তাদের এ বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে কমপক্ষে ৩৫০০ কোটি ডলার বা তিন লাখ কোটি টাকার। এর ফলে অ্যামাজনের শতকরা ৪ ভাগ শেয়ার পাবেন ম্যাকেনজি। এ ছাড়া ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় তার যে শেয়ার আছে, জেফ বেজোসের মহাকাশ ভ্রমণ বিষয়ক কোম্পানি ব্লু অরিজিনে যে শেয়ার আছে তা ত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন ম্যাকেনজি।
এর আগে আর্ট বিষয়ক ডিলার অ্যালেক ওয়াইল্ডেনস্টেইন ও তার স্ত্রী জোসিলিনের মধ্যে যে রেকর্ড ৩৮০ কোটি ডলারের বিচ্ছেদ হয় তার চেয়ে জেফ বেজোস ও ম্যাকেনজির এই বিচ্ছেদ অনেক বেশি অংকের। অর্থাৎ অ্যালেক যে রেকর্ড গড়েছিলেন তা ভেঙে দিচ্ছেন জেফ বেজোস।
বেশ কতদিন ধরেই তাদের বিচ্ছেদের কথা শোনা যাচ্ছিল। তা নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে রসালো সব কাহিনী।
তবে দু’জনের মধ্যে বিচ্ছেদের বিষয়টি নিজের টুইটারে এবারই প্রথম ঘোষণা করেছেন ম্যাকেনজি। সবেমাত্র এই মাসে তিনি টুইটারে যোগ দিয়েছে। এতে তিনি লিখেছেন, জেফ বেজোসের সঙ্গে বিবাহের ইতি ঘটানোর সব প্রক্রিয়া শেষ করে এনেছি। পারস্পরিক সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।
উল্লেখ্য, অ্যামাজনে জেফ বেজোসের আছে শতকরা ১৬..৩ ভাগ শেয়ার। এর শতকরা ৭৫ ভাগের শেয়ার থাকবে জেফ বেজোসের। আর তার বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার সার্বিক ক্ষমতা পাবেন ম্যাকেনজি।
এই দম্পতির আছে চারটি সন্তান। তারা ১৯৯৪ সাল থেকে একসঙ্গে আছেন। ২৫ বছর আগে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন জেফ বেজোস। তারপর প্রথম যেসব কর্মীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে অ্যামাজনে তার মধ্যে প্রথমজন হলেন ম্যাকেনজি। বর্তমানে অনলাইনে ব্যবসায় বিশাল এক প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন। গত বছর এ প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করেছে ২৩২৮০ কোটি ডলারের পণ্য। এ ব্যবসা জেফ বেজোস ও তার পরিবারকে ১৩১০০ কোটি ডলারের অর্থ সংগ্রহে সহায়তা করেছে।
ফক্স টিভির সাবেক উপস্থাপিকা লরা সানচেজের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন জেফ বেজোস। এসব নিয়ে অনেক তামাশার খবর প্রকাশিত হয়। অবশেষে সেই প্রেমের কারণে পরিসমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে দীর্ঘদিনের দাম্পত্যের।