সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তিন তালাক দেয়ায় স্বামী জাইলুন কালিয়া এবং তার পিতামামা জাভেদ, নাফিসার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ২৬ বছর বয়সী ফারহিম। তার অভিযোগ আমলে নিয়ে ভারতের উমারগাম পুলিশ মামলা নিবন্ধিত করেছে। কালিয়া বিদেশে বসবাস করেন।
গত মাসে তিনি স্ত্রীকে তিন তালাক দেন। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সেই তালাকনামা পাঠিয়ে দেন তার মা নাফিসার কাছে। তিনি ওই ম্যাসেজ প্রিন্ট করে জমা দেন স্থানীয় মসজিদে। এরপর ওই মসজিদের প্রশাসন থেকে ফারহিমের পিতা সলিমকে বিচ্ছেদের কথা জানানো হয়। কিন্তু এমন তালাক মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ফারহিম ও তার পরিবার।
ফলে ১৪ই জুন ফারহিম ছুটে যান উমারগাম পুলিশ স্টেশনে। মামলা করেন স্বামী ও শ্বশুর, শাশুড়ির বিরুদ্ধে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের সুরাটে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ফারহিম অভিযোগ করেছেন, তার একটি ছেলে সন্তান আছে। অন্যদিকে তার স্বামী কালিয়ার এক বোনের কোনো সন্তান নেই। কালিয়া তাকে অনুরোধ করেন নিজের সন্তানকে তার বোনের কাছে দিয়ে দিতে। এতে অস্বীকৃতি জানান ফারহিম। এ জন্যই জাইলুন কালিয়া তাকে তালাক দিয়েছে। পুলিশ বলেছে, অভিযুক্ত কালিয়া বিদেশে আছেন। কিন্তু তিনি ঠিক কোথায় আছেন তা স্থিরভাবে জানা যায় নি। তিনি কাজ করেন জাহাজ শিল্পে। কয়েক মাসের মধ্যে তার দেশে ফেরার কথা।
এরই মধ্যে তিনি নিজের মায়ের কাছে ওই তালাকনামা পাঠিয়েছেন হোয়াটস্যাপ ব্যবহার করে। ফারহিম পুলিশকে বলেছেন, তার স্বামী থাকেন কানাডায়। কিন্তু কালিয়ার পিতামাতা বলছেন, তিনি থাকেন দুবাইয়ে। অভিযুক্ত কালিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা হয়েছে।