সাবরিনা-আরিফুলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ১৩ আগস্ট

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

 

 

২৩৯ বার দেখা হয়েছে

করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াদ এই দিন ধার্য করেন।

এর আগে বিচারক মামলার চার্জশিট দেখেন। এরপর তিনি মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে বদলি করেন। এ ছাড়া আদালত আগামী ১৩ আগস্ট সাবরিনা-আরিফুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

এদিকে গতকাল বুধবার করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এ মামলায় অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।

চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে মূল হোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছে।

এদিকে, গত ২৩ জুন সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গত ২৪ জুন আরিফ চৌধুরী ও সহযোগী সাঈদ চৌধুরীর দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে গত ১৫ জুলাই আরিফুলের ফের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

অন্যদিকে, গত ১২ জুলাই দুপুরে সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সাবরিনাকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গত ১৩ জুলাই তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে ১৭ জুলাই আরো দুদিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি। দুই দফা রিমান্ড শেষে ২০ জুলাই তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। এ ছাড়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর সাবরিনাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

জেকেজি হেলথ কেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনা টেস্টের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করা হয়, যা জব্দ করা ল্যাপটপে পাওয়া গেছে। 

আরো পড়ুন