যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্টদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র শিগগিরই বঙ্গবন্ধুর খুনিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত খুনিরা যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশের মাটিতে লুকিয়ে আছে। আমরা আশ্বস্ত হয়েছি যে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধুর খুনিকে শীঘ্রই বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে’
রাষ্টদূত জিয়াউদ্দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাদ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে এ কথা বলেন।
রোববার (১৬ আগস্ট) এক তথ্যবিবরনীতে একথা জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, এর আগে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে অর্ধনিমিত করার মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।এরপর রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষমূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করা হয়
দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং ৭৫ এর ১৫ আগস্টে নির্মমভাবে নিহত তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেনএবং তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
পনেরই আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডকে মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে বর্ণনা করে রাষ্টদূত জিয়াউদ্দিন বলেন, ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে স্বাধীনতার চেতনা এবং উদ্দেশ্য ‘স্বাধীন গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ’কে ধ্বংস করতে চেয়েছিল।
রাষ্ট্রদূত বলেন, হত্যাকারীরা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে জেনারেল জিয়ার নেতৃত্বে অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল, গণতন্ত্রকে হত্যা এবং হত্যা ক্যূ ষড়যন্ত্রের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করে খুনিদের বিচার কাজ সম্পন্ন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যার রায় কার্যকর করেন।