‘ভারত ও চিনের থেকে ভাল লড়ছি’

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

 

 

৯৯ বার দেখা হয়েছে

করোনা-মোকাবিলায় অনেক এগিয়ে আমেরিকা। বরং ভারত, চিনই ধুঁকছে। গত কাল এমনটাই দাবি করলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। করোনা-যুদ্ধে তাঁর প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে গোড়া থেকেই ঘরে-বাইরে সমালোচনার আঙুল উঠেছে। ট্রাম্প নিজেও দীর্ঘদিন করোনাকে ‘সামান্য ফ্লু’ বলে উড়িয়ে এসেছেন। কিন্তু এখন নভেম্বরের ভোট মাথায় রেখেই এ ভাবে তিনি নিজের ঢাক পেটাতে আসরে নামলেন বলে মনে করা হচ্ছে। মাস্ক পরায় বরাবরের অনীহা তাঁর। কাল কিন্তু প্রচার-ইমেলে ট্রাম্প নিজেই তাঁর সমর্থকদের আর্জি জানান—এ বার সবাই মাস্ক পরুন।

আমেরিকায় গত সপ্তাহে টানা পাঁচ দিন ৬০ হাজার করে নতুন করোনা-আক্রান্তের খবর মিলেছিল। সেই হিসেবে, গত দু’দিনে ৪৫-৪৬ হাজার করে সংক্রমণ স্বস্তিদায়ক তো বটেই! পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সংক্রমিত হয়েছেন ৫২ হাজার জন। ছ’দিনে সংক্রমণের গ্রাফ মোটামুটি একই। বরং সুস্থতার হার ক্রমে বাড়ছে। এখন ভারতে অ্যাক্টিভ রোগীর থেকে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ। আমেরিকায় কিন্তু সমান-সমান। কাল তবু সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বললেন, ‘‘ভারত, চিনের মতো বড় বড় দেশ করোনা সামলাতে সমস্যায় পড়েছে। সেই দিক থেকে আমরা অনেক ভাল কাজ করছি। ’’

কতটা ‘ভাল’ লড়াই করছে তাঁর দেশ, সে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, ইতিমধ্যেই বিশ্বের সব চেয়ে বেশি করোনা-পরীক্ষা হয়েছে তাঁর দেশে— ছ’কোটিরও বেশি। যদিও ওয়র্ল্ডোমিটারসের তথ্য বলছে, করোনা-পরীক্ষায় তালিকার শীর্ষে থাকা চিনে পরীক্ষা হয়েছে ৯ কোটি নাগরিকের। রাশিয়ায় তিন কোটি আর ভারতে দু’কোটির। ট্রাম্প যা-ই বলুন, সংক্রমণে রাশ নেই তাঁর দেশে। ক্যালিফর্নিয়া, ফ্লরিডায় আক্রান্ত ৫ লাখ করে। টেক্সাস ও নিউ ইয়র্কেও সংক্রমিত ৪ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়েছে।

জার্মানির চিকিৎসকরা জানিয়েছে, তাদের দেশে এখন সংক্রমণের দ্বিতীয় ঝড় চলছে। ফরাসি বিজ্ঞানীদেরও আশঙ্কা দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ নিয়েই। ইরান মাঝখানে ভাল সামাল দিলেও, গত ২৪ ঘণ্টায় সে দেশে দু’শোরও বেশি মৃত্যুর খবর মিলেছে। ট্রাম্প যে চিনের তুলনা টেনেছিলেন, সে দেশে আজ নতুন করে ৩৬টি সংক্রমণের খবর মিলেছে। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, করোনার উৎস খুঁজে বার করার কৌশল নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছে তারা। এরই মধ্যে আজ ইটালির এক দল গবেষকের দাবি, এই সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের অন্তত ছ’টি স্ট্রেন পাওয়া গেলেও এর মিউটেশন-ক্ষমতা দুর্বল। বরং সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের নিজেকে পাল্টে ফেলার হার দ্বিগুণ।

আরো পড়ুন