বাজারে এখন ফুলকপির ছড়াছড়ি। দামও হাতের নাগালে। অনেকে হয়তো প্রতিদিন ফুলকপির বিভিন্ন পদ খেয়ে একঘেয়েমি বোধ করছেন! চাইলেই স্বাদ পাল্টাতে ফুলকপির মজাদার এক পদ রান্না করে খেতে পারেন।
ফুলকপির স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, সি, কে, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক। বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, মলাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক পর্যন্ত কমায় ফুলকপি।
এ ছাড়াও ওজন, কোলেস্টেরল কমাতেও কাজ করে ফুলকপিতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ। তাই ঘরে বিভিন্ন পদ হিসেবে রান্না করে খেতে পারেন ফুলকপি। তেমনই এক মজার পদ হলো ফুলকপির দোলমা।
মাত্র আধা ঘণ্টা সময়ের মধ্যে সামান্য কয়েকটি উপাদান দিয়েই তৈরি করে নিতে পারবেন পদটি। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক রেসিপি-
উপকরণ
১. ফুলকপি ১টি
২. দারুচিনি ২ টুকরো
৩. মাংসের কিমা ১ কাপ
৪. লবঙ্গ ২টি
৫. পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ
৬. তেজপাতা ১টি
৭. আদা বাটা ১ চা চামচ
৮. টমেটো সস বা দই ১ টেবিল চামচ
৯. রসুন বাটা আধা চা চামচ
১০. কাঁচামরিচ ২টি
১১. মরিচ বাটা ১ চা চামচ
১২. পনির ঝুরি ২ টেবিল চামচ
১৩. হলুদ বাটা আধা চা চামচ
১৪. লবণ ১ চা চামচ
১৫. গোলমরিচ বাটা আধা চা চামচ
১৬. ময়দা আধা কাপ
১৭. এলাচ ৩টি
১৮. তেল ১ কাপ
পদ্ধতি: একটি আস্ত ফুলকপি পাতা ও ডাটা কেটে নিন। লবণ পানিতে আধা ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখুন আস্ত ফুলকপি। লবণ পানি থেকে তুলে ফুটানো পানিতে দিয়ে ৪-৮ মিনিট সেদ্ধ করুন।
কিমা করা যেকোনো মাংসের সঙ্গে বাটা ও গরম মসলার সঙ্গে তেজপাতা, তেল, সস বা দই এবং আধা কাপ পানি মিশিয়ে সেদ্ধ করে নিন। পানি শুকিয়ে মাংস সেদ্ধ হলে কাঁচামরিচ দিয়ে কষিয়ে নিন। তেল উপরে ভেসে উঠলে পনির কুচি মিশিয়ে নিন।
সেদ্ধ করা ফুলকপি উঠিয়ে নিয়ে একটি প্লেটে রাখুন। এবার ফুলকপির মধ্যে কিমা ভরে দিন। সাবধানে কিমা ভরবেন, যেন ফুলকপি না ভাঙে।
ময়দায় সামান্য লবণ, ঘি ও পানি দিয়ে মথে নিন। মাঝারি আকারের রুটি বেলে ফুলকপির যে দিকে কিমা ভরা হয়েছে; সেদিকে ঢেকে দিন। রুটি ফুলকপির সঙ্গে ভালোভাবে এঁটে দিন। কড়াইয়ে ডুবো তেলে ফুলকপির দুই পাশ ভেজে নিন। কেটে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
জেএমএস/এসইউ/জিকেএস