নিউইয়র্কের কয়েক হাজার হলুদ ক্যাব ড্রাইভার এখন বেকার জীবন যাপন করছেন। প্রতি বছর গরমের মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা আমেরিকায় আসলেও এবার করোনার কারনে তেমন কোন পর্যটক নেই। ফলে ক্যাবিরা গাড়ি পার্কিং করে রেখেছেন মাসের পর মাস। ঘরে বসেই বেকার ভাতা গ্রহন করে কোন রকমে সংসার চালাচ্ছেন।
নিউইয়র্ক নগরীর ব্যস্ততম এলাকা ম্যানহাটনে এক সময় অহরহ হলুদ ক্যাব দেখা যেত। এখন আগের মত হলুদ ক্যাব দেখা যায়না। যাত্রী সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় লিজের টাকা তুলতেও কষ্ঠ হয়। এতে করে বেশীর ভাগ দিনই লিজ মানি দেওয়ার পর নিজের জন্য কোন ডলার অবশিষ্ঠ থাকেনা। সারাদিন খেটে দিন শেষে খালি হাতে ফিরছেন অনেকেই। দিনদিন ক্যাব ড্রাইভাররা এ পেশায় নিজেদের টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও বাধ্য হয়েই ক্যাব চালানোর পেশা ছেড়ে দি্চ্ছেন।
অন্যদিকে ক্যাবের মেডেলিয়ানের দামও দিন দিন আরো কমে যচ্ছে। এক সময়কার মিলিয়ন ডলারের মেডেলিয়ান এখন লাখ ডলারে গিয়ে ঠেকেছে।
দাম কমলেও তারপরও কেনার গ্রাহক পাওয়া যাচ্ছেনা। অপরদিকে যাত্রীর সংখ্যাও কমে যাওয়ায় চালকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। অনেকেই মাসের পর মাস গাড়ি না চালিয়ে পাকিংয়ে ফেলে রেখেছেন। কেউ কেউ কয়েক মাসের জন্য টিএলসি প্লেট সারেন্ডার করে দিয়েছেন ডিএমভিতে।
আবার কেউ কোন রকমে ইনস্যুরেন্স দিয়ে প্লেট রক্ষা করে চলেছেন।
ক্যাবি সিরাজ উদ্দিন জানান, গত কয়েক মাস ধরে ক্যাব চালানো থেকে বিরত আছি। একদিকে করোনা অন্য দিকে যাত্রী সংখ্যা তেমন নেই। সব মিলিয়ে ঘরে বসে আছি এবং বেকার ভাতা নিয়ে কোন রকমে সংসার চালিয়ে যাচ্ছি।
অপর ক্যাবি আকমল হোসেন বলেন, গত কয়েক মাস ধরে রাস্তায় গাড়ি পার্কিংয়ে ফেলে রেখেছি। গাড়ি প্লেট ডিএমভিতে সারেন্ডার করে রেখেছি। পরিস্থিতি ভাল হলে পুনরায় নামবেন ক্যাব চালাতে।
মেডেলিয়ান মালিক বেলাল আহমেদ জানান, ড্রাইভার সংকটে আছি। ড্রাইভাররা কাজ করছেনা। কারন বাইরের পরিস্থিতি ভালনা। কবে পরিস্থিতি ভাল হবে সে আশায় আছি। মেডেলিয়ান বিক্রির চেষ্টা করেছি দাম কম ক্রেতাও নেই।