দীর্ঘ ৫৫ বছর পর চালু হলো চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল যোগাযোগ

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

 

 

১০০ বার দেখা হয়েছে

একটি পণ্যবাহি ট্রেন আজ বেলা ১২টা ৪৬মিনিটে ভারতের হলদিবাড়ির উদ্দেশে চিলাহাটি ছেড়ে যায়। ট্রেনটি বেলা ২টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৫৫ বছর পর ফের চালু হলো নীলফামারীর চিলাহাটির সঙ্গে ভারতের হলদিবাড়ির রেল যোগাযোগ।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রেল যোগাযোগের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ি সীমান্ত পর্যন্ত বাংলাদেশ অংশের ৬ দশমিক ৭২ কিলোমিটার রেললাইন বসানোর কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ৮০ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ের ওই প্রকল্পে রেল লাইন স্থাপন ছাড়াও বসানো হয়েছে চার কিলোমিটার লুপ লাইন, আটটি লেভেল ক্রসিং ও নয়টি ব্রিজসহ অন্যান্য অবকাঠামো। পাশাপাশি ভারত হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ করে তাদের অংশে চালিয়েছেন পরীক্ষামূলক ট্রেন।

রেলওয়ে সূত্রমতে, উদ্বোধন ঘোষণার পর চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে পণ্যবাহি ট্রেনটি ছেড়ে যায় ভারতের হলদিবাড়ির উদ্দেশ্যে। ভারতীয় ওয়াগনের ট্রেনটি টেনে নিয়ে যায় বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি ইঞ্জিন। ওয়াগানগুলোকে হলদিবাড়ি রেলস্টেশনে রেখে পুণরায় দেশে ফিরে আসবে ইঞ্জিনটি।

চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল লিংক স্থাপনের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুর রহীম জানান, ‘১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর এ পথটি বন্ধ হয়। এরপর বর্তমান সরকার ২০১৫ সালে বন্ধ থাকা রেল লিংক পুণরায় চালুর উদ্যোগ নেয়। সে লক্ষ্যে ২০১৮ সালে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল লিংকটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন বর্তমান রেলপথমন্ত্রী এবং ভারতীয় হাইকমিশনার। ইতিমধ্যে মেইন রেললাইনসহ আনুসঙ্গিক কাজগুলো আমরা সম্পন্ন করেছি। ভারতও তাদের অংশের কাজ শেষ করেছে। উভয় অংশে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়েছে। উদ্বোধনের পর এ পথে বাংলাদেশ থেকে ভারত, নেপাল, ভুটান পর্যন্ত যাত্রিবাহি এবং পণ্যবাহি ট্রেন চলাচল করতে পারবে। ঢাকা থেকে ভারতের দার্জিলিং যাওয়ার জন্য এটি একটি বেস্ট রুটে পরিণত হবে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৬ মার্চ থেকে এ পথে যাত্রিবাহি ট্রেন পরিচালনা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন।’

আরো পড়ুন