ট্রাম্প না বাইডেন কাকে চায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা?

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

 

 

২৩০ বার দেখা হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টির কে কী নিয়ে আসছেন, তা নিয়ে এখন বৈশ্বিক রাজনীতিতে চলছে নানা আলোচনা। নীতিগতভাবে কতটা আলাদা ট্রাম্প-পেন্স এবং বাইডেন-হ্যারিসের দল? আর এই বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদেরাই বা কোন দল পছন্দ করছেন?

যুক্তরাষ্টের আসন্ন নির্বাচনের দৌড়ে রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির জো বাইডেন মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে আছেন মাইক পেন্স এবং জো বাইডেনের সাথে আছেন কমলা হ্যারিস। এই দুই পক্ষের নীতিগত তফাৎ বুঝতে হলে এই দুই দলের মূল নীতি বোঝা প্রয়োজন।

নীতিগত পার্থক্য কোথায়?

ডেমোক্রেটিক পার্টি রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ, সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, সাশ্রয়ী মূল্যের শিক্ষা, সামাজিক কর্মসূচি, পরিবেশ সংরক্ষণ নীতি এমন দিকগুলোতে বিশ্বাসী। অন্যদিকে রিপাবলিকানদের নীতিতে সীমিত সরকারি নিয়ন্ত্রণ, কম কর হার, মুক্তবাজার পুঁজিবাদ, বন্দুকের অধিকার, অভিবাসন ও গর্ভপাতের মতো ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা এমন দিকগুলো উল্লেখযোগ্য। দলের প্রার্থীরাও এমন চিন্তাধারা প্রচার করে থাকেন।

আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উল্লেখযোগ্য দিক হলো- দেশীয় অর্থনীতি শক্তিশালী করে তোলা এবং নাগরিকদের ট্যাক্সের বোঝা কমানো। এজন্য বর্হিবিশ্বের অর্থনীতিতে তিনি আগ্রহী নন। জলবায়ু পরিবর্তনের দিকেও কোন নজর নেই তার। অন্যদিকে জো বাইডেনের প্রস্তাব অর্থনৈতিক সমতা প্রতিষ্ঠা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাত সবার জন্য সহজলভ্য করা। তার উদ্দেশ্য শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো, পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ, বহির্বিশ্বের অর্থ দিয়ে আন্তর্জাতিক প্রভাব রাখা এবং বর্ণ, নারীপুরুষ বা অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানো। এছাড়া করোনাভাইরাস নিয়ে ভিন্ন নীতি অবলম্বন করার পরিকল্পনাও রয়েছে জো বাইডেনের।

অভিবাসী ইস্যুতে ট্রাম্পকে বেশ কঠোর হিসেবে দেখা হয়। তার সমালোচনা করেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বাইডেন। ট্রাম্পের নেওয়া অভিভাসন নীতি পরিবর্তন করতেও আগ্রহ দেখান তিনি।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাকে পছন্দ এবং কেন?

নিউইয়র্কের রেজিস্টার্ড নার্স প্রবাসী সুপ্রিয়া চৌধুরী জানান, ট্রাম্পের পলিসিগুলো আমার ভালো লাগে না। কারণ, ট্রাম্পের পলিসিগুলো সবসময়ই কাজ করে ধনী মানুষদের জন্য, আমাদের সাধারণ মানুষদের জন্য না। অপরদিকে জো বাইডেন বা ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সব সময়ই চিন্তা করে সাধারণ মানুষদের কথা। ট্রাম্পের পরে বিশ্বে অনেক বড় একটা খারাপ দিক আসবে। সে যে ট্রেনড্‌টা দিয়ে গেল যে, কিভাবে চুরি করা যায়, কিভাবে মিথ্যা কথা বলা যায়, আমি বার বছর ট্যাক্স দেখাইনি কিন্তু আমি প্রেসিডেন্টের জন্য দাঁড়িয়েছি। তারপর হিলারীকে বলেছিল দেখ আমি কিভাবে স্মার্ট, আমি ট্যাক্স দেইনি। এই কথাগুলো খুব অ্যাফেক্ট করে।

একুইটেবল ফাইন্যানশিয়াল কোম্পানির রিজিওনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রবাসী মোস্তাক চৌধুরী বলেন, ট্রাম্প এখন পর্যন্ত যা যা করবেন বলেছিলেন সবকিছু ডেলিভার করা হয়েছে। উনি বলেছিলেন যে, আমার জর্জ আমি এটাতে ব্যাক করবো, আমেরিকার কোম্পানিগুলো এটাতে ব্যাক করাতেছে। উনি বলেছিলেন যে, আমি বর্ডার সিকিউরিটি ইম্পিলিমেন্ট করবো, বর্ডার সিকিউরিটি ইম্পিলিমেন্ট করা হয়েছে। বাইডেনের যে ট্যাক্স প্রায়োরেটি, ট্যাক্স বাড়াতে হবে অলমোস্ট ৩ মিলিয়ন ডলার। এটার মিনিংটা হলো প্রত্যেকটা ইন্ডিভিজুয়াল, আমেরিকাতে প্রত্যেকটা ইন্ডিভিজুয়ালের ট্যাক্স ইম্পিলিমেন্ট করতে হবে। তার মানে আপনি আমি ওই টাকাটা পে করতেছি অন্যদের।

নিউইয়র্ক সিটির ইলেকশন কমিশনার প্রবাসী মাজেদা আখতার উদ্দিন বলেন, ও হয়তো মুখে বলে, এ হয়তো মুখে বলে না। উভয়েই সেইম, নো ডিফারেন্স। আমি কোন ডিফারেন্স খুঁজে পাইনি। একজন মাইনোরিটির জন্য, একজন হোয়াইটের রিসসের জন্য। বাট, দেয়ার ইজ নো ডিফারেন্স।

মি. ট্রাম্পের কাজে ব্যবসায়ীর চিন্তাধারা প্রকাশ পায়। তবে তার সীমাবদ্ধতার জায়গা হলো, তার বেফাঁস কথাবার্তা। আর মি. বাইডেন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হলেও তার সীমাবদ্ধতা বয়স বেশি হওয়া। যেটা অনেকের কাছে বিবেচ্য বিষয়।

সূত্র: বিবিসি

আরো পড়ুন