ঢাকার চারটি হাসপাতালে প্রথম দফায় করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হবে। টিকার কার্যক্রম শুরু হবে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুল মান্নান এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন।
এরপরে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হবে। এরপর একযোগে সারা দেশে টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে বলে তিনি জানান।
আবদুল মান্নান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে ভারত থেকে উপহার হিসাবে পাঠানো ২০ লাখ টিকার ডোজ ঢাকায় পৌঁছবে।
এর আগে জানানো হয়েছিলো বুধবারই বাংলাদেশ পেয়ে যাবে উপহারের টিকা। পরে জানানো হয় একদিন পিছিয়ে গেছে তা। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের বরাত দিয়ে আবদুল মান্নান জানান, তারা জানিয়েছে যে, আগামী ২৫শে জানুয়ারি বাংলাদেশের ক্রয় করা টিকার ৫০ লাখ ডোজ ঢাকায় আসবে। এসব টিকা তেজগাঁয়ের ইপিআই সংরক্ষণাগারে রাখা হবে।
স্বাস্থ্য সচিব মোঃ আবদুল মান্নান বলছেন, প্রথম মাসে ৬০ লক্ষ টিকা দেয়া হবে। পরের মাসে দেয়া হবে ৫০ লাখ। তৃতীয় মাসে আবার ৬০ লাখ টিকা দেয়া হবে। প্রথম মাসে যারা টিকা নেবেন, তারা তৃতীয় মাসে আবার দ্বিতীয় ডোজ নেবেন।
তবে কবে থেকে টিকা দেয়া শুরু হবে, সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্ধারণ করে দেবেন বলে তিনি জানান।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হবে। আগে ২৫ লক্ষের কথা বলা হলেও এখন ৫০ লক্ষ মানুষকে প্রথম ডোজ দেয়া হবে।”
টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হবে ২৬শে জানুয়ারি থেকে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকাটি তৈরি করছে ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট। বাংলাদেশ সেই প্রতিষ্ঠান থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য চুক্তি করেছে।
টিকা প্রদানের বিভিন্ন ধাপ:
নিবন্ধন: জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে ব্যক্তি নিবন্ধন
ভ্যাকসিন কার্ড: ওয়েব পোর্টাল হতে ভ্যাকসিন কার্ড সংগ্রহ
এসএমএস বার্তা প্রেরণ: ভ্যাকসিন প্রদানের তারিখ ও তথ্য প্রেরণ
প্রথম ডোজ: নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে প্রদান
দ্বিতীয় ডোজ: নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে প্রদান
ভ্যাকসিন সনদ: দুইটি ডোজ নেওয়ার পর পোর্টাল হতে সংগ্রহ