জাতিসংঘে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক বিশেষ দূতের দায়িত্ব পেলেন আইরিন জুবাইদা খান। তিনি ২০১৪ সালে নিয়োগ পাওয়া ডেভিড কায়ির স্থলাভিষিক্ত হবেন। আগস্ট থেকে তিন বছরের জন্য এই দায়িত্ব পালন করবেন সিলেটের মেয়ে আইরিন খান।
আইরিন খান লম্বা তালিকা পার হয়ে এই অবস্থানে আসেন। যদিও বাছাই পর্বের চূড়ান্ত শর্ট লিস্টে আইরিন খান ছিলেন এক নম্বরে। এর আগে ২০০১ সালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সপ্তম মহাসচিব হন অনেকগুলো প্রথমকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করে। যেমন—প্রথম নারী, প্রথম বাংলাদেশি, প্রথম এশীয় এবং প্রথম মুসলিম হিসেবে।
জেনেভায় জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের বৈঠকে আইরিন খানের নাম প্রস্তাব করা হলে সদস্য দেশগুলো তার নিয়োগ চূড়ান্ত করার পক্ষে মত দেন।
১৯৫৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর আইরিন খান ঢাকাতে জন্মগ্রহণ করেন। আইরিন খান পূর্ব পাকিস্তানের একটি বিত্তবান পরিবারে বেড়ে ওঠেন। তবে তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন সিলেটের। তিনি পড়াশোনার জন্য ইংল্যান্ডে যান এবং সেখানে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অভ ম্যানচেস্টারে পড়ালেখা করেন। সেখান থেকে তিনি হার্ভার্ড ল’ স্কুল-এ পড়তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন। সেখানে তিনি আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার নিয়ে গবেষণা করেন এবং ১৯৭৮ সালে স্নাতক লাভ করেন।
আইরিন খান ২০০২ সালে ফোর্ড ফাউন্ডেশন ফেলোশিপ, পিলকিংটন ওম্যান অভ দি ইয়ার পুরস্কার ২০০৬ সালে সিডনি শান্তি পুরস্কার লাভ করেছেন। ২০০৭ সালে গেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন চ্যান্সেলর নির্বাচনের জন্য যে দুজন ব্যক্তি মনোনিত হন, তার মধ্যে তিনি একজন। তিনি ২০০৯ সালের জুলাই মাসে স্যালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন। ২০১০ সালে ইংরেজি দৈনিক দি ডেইলি স্টারে পরামর্শ দাতা সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন।
আইরিন খান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় ছিলেন বেশ সরব। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন উক্ত বিষয় এবারও তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখবেন।