এবার ইসরাইলের সঙ্গে বাহরাইনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

 

 

৯৯ বার দেখা হয়েছে

চতুর্থ আরব দেশ হিসেবে বাহরাইন আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় বাহরাইনের রাজধানী মানামায় রোববার এই চুক্তিটি সই হয়। খবর বিবিসি’র।

সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর এবং জর্ডানের পরে বাহরাইন এখন চতুর্থ আরব দেশ, যারা ১৯৪৮ সালে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। এদিকে ফিলিস্তিনিরা এই কূটনৈতিক পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলছে, ‘এটা পিঠে ছুরি মারার শামিল।’

গত কয়েক দশক ধরে বেশিরভাগ আরব রাষ্ট্র ইসরাইলকে বয়কট করে আসছিল। ফিলিস্তিনের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোন দেশই কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না বলে জানাচ্ছিল।

রোববার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মানামায় একটি অনুষ্ঠানে বাহরাইন ও ইসরাইলি কর্মকর্তারা পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে একটি যৌথ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তিতে দুই দেশেই দূতাবাস খোলার কথা রয়েছে।

ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে যে, ওই নথিতে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ নিয়ে কিছুর উল্লেখ ছিল না।

চুক্তি স্বাক্ষরের পরে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিন রশিদ আল-জায়ানি এক বক্তব্যে বলেন যে, তিনি দুই দেশের মধ্যে  ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা’ প্রত্যাশা করছেন। তিনি ফিলিস্তিনি সংঘাতের অবসানে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানসহ এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠারও আহ্বান জানান।

বাহরাইনের আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোড +৯৭৩ সাথে মিল রেখে ইসরাইলি দল ‘ইআই এআই ফ্লাইট ৯৭৩’-এ সফর করেছে। তবে মানামায় আসার জন্য সৌদি আরব অতিক্রম করার কারণে তাদেরকে ওই দেশটির বিশেষ অনুমতি নিতে হয়।

কেননা ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে এ পর্যন্ত যতো আহ্বান এসেছে, তার সবই প্রত্যাখ্যান করে আসছে সৌদি নেতারা।

মানামায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইসরাইলের প্রতিনিধিদের সাথে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভ নুচিনও উপস্থিত ছিলেন। আগামী মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইসরাইলের প্রথম প্রতিনিধি দলের সাথেও তার যাওয়ার কথা রয়েছে।

ফিলিস্তিনি নেতারা এই ঘোষণায় রীতিমত অবাক হয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে ইসরাইলের ওই চুক্তি এবং পরবর্তীতে বাহরাইনের সাথে ইসরাইলের চুক্তির নিন্দা জানায়। তবে গত মাসে যখন এই চুক্তির ঘোষণা দিয়েছিল বাহরাইন, তখনই দেশটি থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছিল ফিলিস্তিন।

সে সময় ফিলিস্তিনের নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘এটি ফিলিস্তিনি জনগণের জাতীয় অধিকার এবং যৌথ আরব পদক্ষেপের জন্য বড় ক্ষতি।’

আরো পড়ুন