গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটির সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৩০৬জনে।
আজ বুহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ১৮৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৭০৮টি পিসিআর পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত ১২ লাখ ২৫ হাজার ১২৪টি পিসিআর পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে দুই লাখ ৪৯ হাজার ৬৫১টি করোনা পজিটিভ এসেছে।
আর গত একদিনে করোনা পজিটিভ এসেছে দুই হাজার ৯৭৭ জনের। একদিনে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আর পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, এসময়ে দুই হাজার ৭৪ জন কোভিড-১৯ রোগ থেকে সেরে উঠেছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৪৩ হাজার ৮২৪ জন। শনাক্ত বিবেচরনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬১ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন, আর নারী সাতজন।
বুলেটিনে বরাবরের মতো করোনা থেকে সুরক্ষিত ও সুস্থ থাকতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে বিশ্বজুড়ে থামছেই না করোনার তাণ্ডব। যাতে নতুন করে প্রায় ৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ ভাইরাসটির শিকার হয়েছেন আরও প্রায় পৌনে ৩ লাখ মানুষ। যাদের অধিকাংশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মেক্সিকো ও পেরুর মতো দেশগুলোর।
বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন বিশ্বের ৬ হাজার ৮৩৮ জন মানুষ। এতে করে মৃতের সংখ্যা ৭ লাখ ১০ হাজার ২৮৭ জনে ঠেকেছে। একই সময়ে ২ লাখ ৭১ হাজার ৪০৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার ৪৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
তবে, আশার কথা হলো, গত ২৪ ঘণ্টায়ও ২ লাখ ৪০ হাজার ভুক্তভোগী সুস্থ হয়েছেন। এতে করে মোট বেঁচে ফেরার সংখ্যা ১ কোটি ২১ লাখ ৫৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।