যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজের ভোট শেষ হয়েছে। সেখানেও জয় লাভ করেছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পপুলার ভোটের ফল অনুসারে যেমনটি এসেছিল, বাইডেন ৩০৬টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছেন আর ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২ ভোট। অনানুষ্ঠানিক ঘোষণায় এমনটি জানা গেছে।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ইলেকটোরাল ভোট গণনা হবে ৬ জানুয়ারি সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের যৌথ অধিবেশনে। ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে এই ভোটের ব্যালট রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছাতে হবে।
ইলেকটোরাল ভোটে জয়ের ঘোষণার পর ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের উইলমিংটনে এক বক্তৃতায় জো বাইডেন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ধাক্কা খেয়েছে, পরীক্ষায় পড়েছে এবং হুমকির মুখে পড়েও সক্ষমতা, সত্যতা ও শক্তিমত্তার প্রমাণ দিয়েছে।’
বাইডেন বলেন, ‘জনগণের ক্ষমতা সমুন্নত থাকবে।’
চূড়ান্ত জয়ের পর বক্তৃতায় জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভোট চ্যালেঞ্জের কড়া সমালোচনা করেন। ১৩ মিনিটের বক্তব্যে বাইডেন বলেন, ‘বহু বছর আগে এই দেশে গণতন্ত্রের শিখা জ্বলেছে। ক্ষমতার অপব্যবহার এমনকি মহামারিও সেই আলো নেভাতে পারবে না।’
অন্যদিকে গতকাল সোমবার দিনভর ভোট জালিয়াতির নানা বিষয় নিয়ে টুইট করে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এদিন তিনি ইলেকটোরাল ভোটে পরাজয় নিয়ে কিছুই বলেননি। যদিও তিনি এর আগে জানিয়েছিলেন, ইলেকটোরাল কলেজ সদস্যরা ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে ভোট দিলে তিনি হোয়াইট হাউস ছেড়ে দেবেন।
তবে বাইডেনের বক্তব্যের কিছুক্ষণ পর রিপাবলিকান সিনেটর ল্যামার আলেক্সান্দার বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ। অঙ্গরাজ্যগুলো ভোট সার্টিফাই করেছে। আদালত অভিযোগসমূহ খারিজ করে দিয়েছেন। ইলেকটোরাল কলেজ সদস্যরাও ভোট দিয়েছেন। আশা করি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশের অগ্রযাত্রা সমুন্নত রাখবেন এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যাতে সুন্দরভাবে শুরু করতে পারেন তাতে সহায়তা করবেন।’
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে জনগণ সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন না বরং তারা ইলেকটোরাল কলেজ সদস্যদেরকে মনোনীত করেন। প্রতি অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যা অনুযায়ী নির্ধারিত ইলেকটোরাল কলেজ সদস্যরা চূড়ান্ত ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে। যে অঙ্গরাজ্যে যে দলের পক্ষে বেশি ভোট পড়ে সেই অঙ্গরাজ্যের সব ইলেকটোরাল ভোট তাদেরই হয়।